মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৫২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ কোটি টাকার অনুদান

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, স্থানীয় পর্যায়ে জবাবদিহি এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে দেশের ৫২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে পাঁচ লাখ টাকা করে অনুদান পাঠিয়েছে সরকার। ‘পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (পিবিজিএসআই)’ স্কিমের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে মোট ২৬ কোটি টাকা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে গেছে। এই অনুদানের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও পাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই অনুদান ‘স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজ ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান’ (এসএমএজি/এমএমএজি/জিবিএজি) হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অনুদানের টাকা যথাযথভাবে এবং নিয়ম মেনে ব্যয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট স্কিম অপারেশন ম্যানুয়ালের বিধান মেনে খাতভিত্তিক ব্যয়ের পরিকল্পনা করতে হবে এবং এ জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রকৃত চাহিদা চিহ্নিত করে রেজুলেশন নিতে হবে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অনুদানের ৫ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা ২০ জন সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা হিসেবে দিতে হবে। এই টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দিতে হবে এবং এর যথাযথ রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

অবশিষ্ট ৪ লাখ টাকা ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করবে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ, যেমন—শিক্ষাসামগ্রী, টয়লেট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন, ডিজিটাল ল্যাব, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বা পাঠাগার সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সকল ক্রয় ও ব্যয় সরকারি ‘ক্রয় আইন ও বিধিমালা’, ‘অপারেশন ম্যানুয়াল’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নীতিমালা-২০২৩’ অনুসরণ করে করতে হবে। নির্ধারিত হারে ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিটি খরচের বিপরীতে স্টক রেজিস্টার, ক্যাশ বই এবং বিল-ভাউচার সংরক্ষণ করতে হবে। টাকা ব্যয়ের পর পূর্ণাঙ্গ বিল-ভাউচার, মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ স্বাক্ষরিত টপশিটসহ আগামী ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা ভবনের স্কিম দপ্তরে জমা দিতে হবে। প্রমাণপত্রের একটি সত্যায়িত অনুলিপি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে।

এ ছাড়াও, মাঠপর্যায়ে অনুদান ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ তত্ত্বাবধানে অন্তত ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। এই পরিদর্শন কার্যক্রমের প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্ক, অর্থপাচার বিরোধী অভিযানে চাপ

অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়া মারা গেছেন

ঢাকা শিশু হাসপাতাল শাখা ড্যাবের নতুন দায়িত্বে ডা. ফারুক

এনসিপির আরও চার নেতার পদত্যাগ 

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিসের শ্বশুর লুৎফর রহমান

ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণার বিধিমালা প্রকাশ

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

বিজিবির কাছে ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

চুরির অভিযোগ, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

সংবিধানের মূলনীতি থেকে আমরা সরে যাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন

১০

রাকসু নির্বাচনে ভোটাধিকারের দাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১১

চট্টগ্রামের মিষ্টি কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি, মধুবন ফুডকে জরিমানা

১২

আশুলিয়ায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

১৩

জাবির সাবেক সহকারী প্রক্টর জনি রিমান্ডে

১৪

প্রাণনাশের শঙ্কায় ভুগছেন ফজলুর রহমান, চাইলেন নিরাপত্তা

১৫

বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইসহাক দারের প্রতিক্রিয়া

১৬

অপ্রতুল বিনিয়োগের কারণে চিকিৎসার মান কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছায়নি : ডা. রফিক 

১৭

মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানানো থালাপতির উত্থানের গল্প

১৮

চট্টগ্রামের নগরায়ণ সংকটে শহরবাসী, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন নেই

১৯

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাপক গোলাগুলি

২০
X