চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসায় পড়েও মেহেনাজের মেডিকেলে চান্স

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত মাহবুবা মেহেনাজ। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত মাহবুবা মেহেনাজ। ছবি : কালবেলা

মাদ্রাসায় পড়েও পছন্দের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে খুশি মাহবুবা মেহেনাজ। নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি ছালেমিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০২১ সালে জিপিএ ফাইভ পেয়ে দাখিল পাস করেন তিনি। পরে স্থানীয় চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৩ সালে জিপিএ ফাইভসহ উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন।

সদ্য প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে মেহেনাজ জাতীয় মেধায় ১০৩৪তম স্থান লাভ করেন। সে তার পছন্দের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন।

মেহেনাজ কড়িহাটি ছালেমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার গণিতের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসানের বড় মেয়ে। তার মা মারজাহান বেগম একজন গৃহিণী।

মেহেনাজ কালবেলাকে বলেন, মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছেটা দশম শ্রেণি থেকেই। কলেজে ওঠার পর ইচ্ছাটা আরও প্রবল হয়েছে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি মেডিকেলে ভর্তির কিছু প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তখন থেকেই আমি সাদা এপ্রোনের সঙ্গে স্টেথোস্কোপ পরা নিজেকে কল্পনা করতাম। এভাবে নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিতাম।

চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, গতবারের মতো এবারেও আমাদের একজন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছেন। সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য মেহেনাজকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের কলেজ থেকে পাস করা অনেকেই এখন ডাক্তারি পেশায় সুনামের সঙ্গে নিযুক্ত আছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে বিষয়টা আমার জন্য গর্বের।

মেহেনাজ বলেন, সারাদিন কলেজ করে এসে আবার টিউশন করানোর পর খাওয়ার সময় থাকত না। মা তখন নিজ হাতে ভাতের প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে খাইয়ে দিতেন। আমার জীবনের কঠিন সময়গুলোতে আমার মা আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আমায় এগিয়ে দিয়েছেন। আমি যখনই হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতাম, আমার মা আমায় আবার উঠে দাঁড় করিয়েছেন। তবে মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলের পর মায়ের মুখের হাসিটা দেখে অতীতের সব কষ্টগুলা ভুলে গেছি। বাবাও শেষ দিকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছিলেন। মাদ্রাসা থেকে কলেজে আসার পর কলেজের স্যারেরা অনেক বেশি সাহস দিয়েছেন। স্যারদের কথা শুনলে নিজের ভেতর একটা আলাদা কনফিডেন্স পেতাম।

এমবিবিএস পাস করে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পাশাপাশি বিসিএস দিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিজেকে ভালোভাবে উৎসর্গ করার ইচ্ছে আছে বলেও জানিয়েছেন মেহনাজ।

এ বছর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫টি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৪ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

গণভবনকে যার সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে কমিশনের নতুন ফর্মুলা

পিএসজিকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতল চেলসি

লন্ডনে সাউথেন্ড বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে

‘হাসিনাকে বাংলার মসনদে ফেরাতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে’

আবু সাঈদ হত্যায় ফরেনসিক বিশ্লেষণে দুটি বিষয় স্পষ্ট : আসিফ নজরুল

সোহাগকে বাঁচাতে কেন এগিয়ে আসেননি বাহিনীর সদস্যরা, জানালেন আনসারপ্রধান

১০

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

১১

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

১২

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

১৩

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

১৪

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

১৫

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৬

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১৭

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

১৮

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

১৯

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

২০
X