সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১১:১৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

খোলা আগুনে রান্নার ধোঁয়ায় বিপদে কোটি কোটি মানুষ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

এখনো খোলা আগুন বা ক্ষতিকর জ্বালানিতে রান্না করতে বাধ্য কোটি কোটি মানুষ। এটি শুধু স্বাস্থ্য নয়, পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, এই সমস্যার সহজ সমাধান থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের এক বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো এই ঝুঁকির মধ্যে বাস করছে।

আইইএ-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় দুইশো কোটি মানুষ এখনো কাঠ, কয়লা, কৃষিজ বর্জ্য বা গোবরের মতো জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করে। আফ্রিকায় এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, শুধু আফ্রিকাতেই ঘরের ভেতরের বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ ১৫ হাজার মানুষ মারা যায়।

আইইএ প্রধান ফাতিহ বিরোল জানান, আফ্রিকায় প্রতি পাঁচটি পরিবারের মধ্যে চারটি এখনো খোলা আগুন বা কাঠ-জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করে। এতে নারীদের ও শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি মূল্যবান সময়ও অপচয় হচ্ছে।

এ ধরনের রান্না শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, একইসঙ্গে বন ধ্বংস ও কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের গতিও ত্বরান্বিত করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রান্নার ধোঁয়া থেকে যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, তা বৈশ্বিক বিমান চলাচল খাতের সমান।

তবে আইইএ বলছে, এই সংকট সমাধান করা একেবারেই সম্ভব এবং তুলনামূলকভাবে কম খরচেই। সংস্থাটির মতে, বছরে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব, যা বৈশ্বিক জ্বালানি বিনিয়োগের মাত্র দশমিক ১ শতাংশ।

২০২৪ সালে প্যারিসে আয়োজিত এক সম্মেলনে ১২টি আফ্রিকান দেশ ও একাধিক বেসরকারি খাত মিলিয়ে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরইমধ্যে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছে। এর আওতায় মালাউয়িতে একটি আধুনিক চুলা উৎপাদন কারখানা এবং উগান্ডা ও আইভরি কোস্টে সাশ্রয়ী স্টোভ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

আইইএ বলছে, বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য গ্যাস এবং এলপিজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এলপিজি একটি জীবাশ্ম জ্বালানি, তবে গাছ কাটার ফলে কার্বন সিংক ধ্বংসের চেয়ে এটি অনেক নিরাপদ বিকল্প।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তাহলে আফ্রিকায় প্রায় ৪৭ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা যাবে এবং প্রতিবছর ৫৪ কোটি টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভব হবে—যা বৈশ্বিক এভিয়েশন খাতের বার্ষিক নিঃসরণের সমান।

তথ্যসূত্র : ডন, এএফপি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে : মিডিয়া সেল 

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন হবে : এসএম জাহাঙ্গীর

অ্যানফিল্ডে এক দশকের অভিশাপ ভাঙল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

রূপনগরে আগুন / ডিএনএ শনাক্তের পর ১৬ মরদেহ পেলেন স্বজনেরা

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক 

সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : বাসস চেয়ারম্যান

রোমাঞ্চকর জয়ে ভারতকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

‘আগুন লাগার ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে’

কিডনি রোগীদের জন্য যে ১০ খাবার নিষেধ

১০

গাজায় আবারও ইসরায়েলের বিমান হামলা 

১১

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১২

আ.লীগের কেন্দ্রীয় ১ নেতা গ্রেপ্তার

১৩

হোটেলে নাশতা খেয়ে শিশুসহ ৬ জন অজ্ঞান

১৪

তাঁতিবাজারে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ

১৫

তিন ধর্মের উপাসনাস্থল নির্মিত হচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

১৬

সীমান্তে ১২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১৭

রাজধানীতে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব দুঃশাসনের কবর দেওয়া হবে : জুয়েল

১৯

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ : সারজিস

২০
X