ডেঙ্গু এখন কোনো মৌসুমী রোগ নয়। বর্ষা শুরুর আগে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ বছর প্রথম ছয় মাসেই আগের বছরের তুলনায় রোগী বেড়েছে ছয়গুণ। সেই সাথে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও।
২০১৯ সালে আক্রান্ত ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জনের বিপরীতে ১৭৯ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জনের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে মৃত্যুর প্রধান কারণ ফ্লুইড ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা।
ডেঙ্গু ডেথ রিভিউ কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ক্রিটিক্যাল হয়ে যে রোগী হাসপাতালে আসছে, ওই সময় যে ম্যানেজমেন্ট দরকার সেটা সঠিক না হলে মৃত্যুহার বাড়বে। স্যালাইন দেওয়া যে বিষয়টি আছে সেখানে মেডিকেল অফিসারদের ঘাটতি আছে।
তিনি বলেন, রোগী হাসপাতালে এলেই তাকে স্যালাইন পুশ করা হয়। এই প্রবণতা অনেক সময় হিতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। এমনকি মাল্টি অর্গান ফেইলুর হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে রোগীরা। সমস্যা সমাধানে বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যারা ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার আছেন তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পরামর্শ দেন তিনি।
ক্রিটিক্যাল ক্যায়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব ডেঙ্গু রোগী মুখে পর্যাপ্ত ফ্লুইড গ্রহণ করতে পারছে তাদের শিরা পথে অতিরিক্ত স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে করে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমলে রোগী জটিল অবস্থায় পড়বে।
মন্তব্য করুন