বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলায় আদালত তড়িঘড়ি করে রায় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর।
বুধবার (২ আগস্ট) সংগঠনের সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএম মাসুম বিল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের তথা কথিত জরুরি সরকারের আমলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাই নয় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যত মামলা দেওয়া হয়েছে তার সবই মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন : কালবৈশাখীর ঝড়ে উড়ে যাবে তারেক-জুবাইদার রায় : রিজভী
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে এ ধরনের রায় দেওয়ায় একজন স্বনামধন্য চিকিৎসকের সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হলো। রাজনীতিবিদ না হয়েও তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন। আমরা চিকিৎসক হিসেবে এ ধরনের রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা চিকিৎসক সমাজ বসে থাকতে পারি না এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে চিকিৎসক সমাজ সংঘবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
তারা বলেন, আজকে তারেক রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে যে মামলার রায় দেওয়া হলো তা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নীল নকশার প্রতিচ্ছবি। মামলার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলেই বুঝা যায় যে, এটি একটি ফরমায়েশি রায়। মামলাটি কার বিরুদ্ধে? ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে। অসামান্য মেধাবী এই নারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ডিস্টিংশন নিয়ে এমবিবিএস পাশ করে মেডিকেল অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইমপেরিয়াল কলেজ, লন্ডন থেকে ৫৫টি দেশের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাস্টার্স অফ কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার যে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড তাতে সামান্য বেতনে সরকারি চাকরি করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। দাদা এবং পরদাদার সম্পত্তির সামান্য অংশ বিক্রি করে ঢাকায় পাঁচ তারকা হাসপাতাল তৈরি করে চিকিৎসা বাণিজ্য করতে পারতেন। আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে পারতেন তিনি। কিন্তু পারিবারিকভাবেই যার রক্তে আছে মানবসেবা, তিনি কীভাবে সাধারণ মানুষের সেবা না করে থাকতে পারেন?
আরও পড়ুন : বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করে ফরমায়েশি রায় : ১২ দলীয় জোট
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বহুল সমালোচিত এই মামলাটির যে রায় দেওয়া হলো তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এই ধরনের রায় দেশের বিচারিক ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে একাডেমিক এবং মানবিক কর্মকাণ্ডে ডা. জুবাইদা রহমান যে সকল মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন, এসব ফরমায়েশি মামলার রায় দিয়ে তার কোনোটি মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। এসব মামলার রায়ের পরও ডা. জুবাইদা রহমান নিজের কীর্তিতে আলোকিত হয়ে থাকবেন, তার পূর্বপুরুষদের মতই, যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী। অবিলম্বে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
মন্তব্য করুন