আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ৫ মে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তাকে ৮ মে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক আরও জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া তলবি চিঠি ধানমন্ডির সুধাসদন ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য তলবি চিঠিও তাদের ঢাকা ও নিজ বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।
গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ শীর্ষ ৮ কর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগুলো হলো প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়নকাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাৎ করেছেন।
গত বছর কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলায় এবং ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
এর প্ররিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে তার নামে মামলা হয়েছে শতাধিক। হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।
মন্তব্য করুন