ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে জিততে না পারলে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন : মাহমুদুর রহমান

‘জুলাই ও মুসলিম : রাজনৈতিক কর্তাসত্তা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা
‘জুলাই ও মুসলিম : রাজনৈতিক কর্তাসত্তা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার যে লড়াই ছিল, তা হলো সাংস্কৃতিক লড়াই। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, বাঙালি মুসলমান যদি সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে জিততে না পারে, তাহলে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।’

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘জুলাই ও মুসলিম : রাজনৈতিক কর্তাসত্তা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ’ ও সঞ্চারণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লেখক ও বুদ্ধিজীবী ডা. ফাহমিদ-উর-রহমান ও কাতারের হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. উসামা আল আযামী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে গবেষণাধর্মী সাময়িকী ‘বাঙলানামা’র চতুর্থ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শাহবাগ ও শাপলার যে লড়াই, সেটাও একটা সাংস্কৃতিক লড়াই। শাহবাগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের মোড়কে আমাদের ওপর এই লড়াই চাপিয়ে দিয়েছে। ২০১৩ সালে মনে হয়েছিল আমরা পরাজিত হয়েছি। কিন্তু ২০২৪ সালে তরুণরা রক্ত দিয়ে দেখিয়ে দিল, আসলে বাঙালি জাতীয়তাবাদেরই মৃত্যু ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সময়ে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ আবারও প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে। তারা একে-অপরকে মোকাবিলা করতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে পুরোনো বয়ান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় শাহবাগের স্লোগান এখন আবার শোনা যাচ্ছে। তুমি কে, আমি কে, বাঙালি বাঙালি স্লোগান আবার ফিরে আসছে।’

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটা জাতির পরিবর্তনের জন্য কিছু হিরোর প্রয়োজন হয়। জুলাই বিপ্লব আমাদের বেশ কিছু হিরো দিয়ে গেছে। তাদের গল্প, গান, কবিতাসহ নানা সাংস্কৃতিক মাধ্যমে ধারণ করতে হবে।’

ডা. ফাহমিদ-উর-রহমান বলেন, ‘২০২৪-এর জুলাইয়ে আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু এর সাংস্কৃতিক কাঠামো এখনো রয়ে গেছে। আজকের এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি ঢাকার নবাব পরিবার পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের উন্নতির জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে নবাবদের কোনো চর্চা করা হয় না। কিন্তু যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছে, তাদের সবসময় এখানে চর্চা হয়।’

ফাহমিদ-উর-রহমান আরও বলেন, ‘আজকে যে নতুন বন্দোবস্তের কথা উঠছে, সেখানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পাশাপাশি এসবও সংস্কার করতে হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনজিওর নামে প্রতারণা, আটক ১

কাতারে হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত জুমা

আসছে চরকির প্রথম ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘খুব কাছেই কেউ’ 

জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল গ্রেপ্তার 

কলাবাগানে পড়ে ছিল লুঙ্গি পেঁচানো যুবকের মরদেহ

এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে নিয়ে অশ্বিনের বিস্ফোরক মন্তব্য

কেউ আত্মহত্যার কথা ভাবছে কি না বুঝবেন যেভাবে

সংসার ভাঙছে মোনালির, গুঞ্জন নাকি সত্যি?

১৭ বছরে ১৪ বার সরকার পতন হয়েছে নেপালে

১০

দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১

১১

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ১৪৩

১২

কাতারে ইসরায়েলি হামলা কি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কোনো সতর্কবার্তা?

১৩

২০২৫ সালের সেরা বিনামূল্যে গান ডাউনলোডার অ্যাপস

১৪

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে ইনার হুইল ক্লাব জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১৫

ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রদলের পক্ষে পোস্ট দেওয়া সেই ওসি প্রত্যাহার

১৬

ডাকসুর ভিপি, জিএস ও এজিএসের কার বাড়ি কোথায়

১৭

কওমি মাদ্রাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা শিহাব

১৮

সিলেটে পাহাড় ও টিলা কাটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন

১৯

বিক্ষোভে অনুপ্রবেশকারীর ঢুকে পড়েছে, দাবি নেপালের জেন-জিদের

২০
X