কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত পরিচালনা কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক জহীরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ৫১(১) ধারার আওতায় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার বিরুদ্ধে অদক্ষতা, পেশাগত অসদাচরণ, কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ মোট ১৭টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি কোনো জবাব দেননি বলে জানিয়েছে পরিচালনা কমিটি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে তার আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যক্রমের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে বেসরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে বলেন, ১৭ দফা দিয়ে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৫ বছরের হিসাব তো ১০ কর্মদিবসে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে আমি সময় চেয়েছি।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গিয়ে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি তদন্ত করবেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমাকে জানিয়েছেন। তবে বিধিমালা হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা তার প্রতিনিধিকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে। তারা সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্য কমিটি গঠন করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ সেই মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার

মালয়েশিয়ায় মানব পাচার / লাখ লাখ টাকা খরচ করে নিঃস্ব হচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা

ভারতে মনসা দেবী মন্দিরে পদদলনে বহু হতাহত

বিচার পেতে গেলে কি ভাইরাল হতে হবে?

দই খাওয়া নিয়ে যে ‍সচেতনতা চিকিৎসকদের

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

বড় বোন পালিয়ে বিয়ে করায় ৪ বছর ধরে তালাবদ্ধ ছোট বোন

মসজিদ নির্মাণ নিয়ে নিহতের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি

কারাবন্দি আ.লীগ নেতার মৃত্যু 

ময়মনসিংহে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল : আপিল বিভাগ

১০

ফেসবুকে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা, যুবলীগ নেতা আটক

১১

হাতিয়ায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

১২

‘ইমাম, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সরকারি বেতন-ভাতা দিতে হবে’

১৩

বছর না পেরোতেই হাজার কোটি টাকার সড়কে ভাঙন

১৪

বিগত তিনটি নির্বাচনেই ভুয়া জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করেছে : মঈন খান

১৫

প্রকাশ পেল সৌরভ অধিরাজের ‘একলা তারা’

১৬

তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্যের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারব : আলী রীয়াজ

১৭

সড়কে ক্লাসের কর্মসূচি দিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

১৮

বাংলাদেশিদের জন্য ১০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং টিপস

১৯

১০ আগস্ট এসএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশের সম্ভাবনা

২০
X