গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন, দলটির সভাপতি ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সুস্থ হওয়ার পর তাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, কতিপয় সেনাসদস্য মব করে নুরসহ অন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সেনাসদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরকে সিঙ্গাপুর কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার দাবি করে তিনি আরও বলেন, সুস্থ হওয়ার পর নুর বাদী হয়ে মামলা করবেন। তবে জড়িত সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে কিনা তা সন্দেহ রয়েছে।
এর আগে আইএসপিআরের বিবৃতির প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁন বলেন, তারা বলেছে আমাদের ওপর ‘মব’ হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মব করেছে কারা? আমরা আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করছিলাম, তখন সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য হামলা চালায়। এটিকে মব বলা যায় না। যদি মব হয়, তাহলে সেই মব সৃষ্টি করেছে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে, ভেতরে ঢুকে নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এটাকে যদি মব বলা হয়, তবে সেই মব করেছে সেনাবাহিনী।
রাশেদ খাঁন জানান, বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে কীভাবে সেনাবাহিনী গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই সময় আতঙ্কে নেতাকর্মীরা বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিল। সেনা সদস্যরা বাথরুমের দরজা ভেঙে তাদের বের করে রক্তাক্ত করেছে।
তিনি বলেন, আমার নিজের কাছে লজ্জা লাগছে যে সেনাবাহিনীর নাম মুখে আনতে হচ্ছে। সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান, যা গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অথচ কতিপয় ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সেনা প্রধানকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখনো তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। কেন তিনি তা স্পষ্ট করছেন না, এটি আমাদের কাছে উদ্বেগজনক।
মন্তব্য করুন