কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাগরিক নিরাপত্তা অধিকার হুমকির মুখে, আসকের বিবৃতি

আসকের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
আসকের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

সিলেট ও মৌলভীবাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হেফাজতে দুজনের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও শালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ ধরনের ঘটনাসমুহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নাগরিকের নিরাপত্তা অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই হেফাজতে মৃত্যু গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এই বিষয়ে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে। নাগরিকের জীবন ও মর্যাদা সুরক্ষিত রাখা কেবল সংবিধানগত বাধ্যবাধকতাই নয়, বরং মানবাধিকারের মৌলিক শর্ত।

এতে উল্লেখ করা হয়, আসক গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শ ঘটছে। গত আগস্টে কক্সবাজারে চকরিয়া থানায় দুর্জয় চৌধুরী, জুলাই মাসে ঢাকার ভাটারা থানায় ফিরোজা আশরাভী এবং জুন মাসে কিশোরগঞ্জে কোটিয়াদী থানায় ফিরোজা বেগমসহ চলতি বছরের শুরু থেকে অন্তত ৭ নাগরিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এতে বলা হয়, আসক মনে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা সরাসরি মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতার অভাবকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে। এ ধরনের ঘটনা জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ক্ষুণ্ণ করে এবং সংবিধান প্রদত্ত জীবন ও মানবিক মর্যাদার মৌলিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রায়শই লক্ষ করা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহের যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে যে, হাজতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এমন সংবেদনশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জবাবদিহি ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৯ এর হেফাজতে থাকা তানভীর চৌধুরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে র‍্যাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। অন্যদিকে, ১৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারে পিবিআই হাজতখানার একটি কক্ষে মো. মকদ্দুছ মিয়া নামে একজন আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আদালত চত্বরে নাটকীয়ভাবে আসামি অপহরণের চেষ্টা, আটক ১০

নীরব ঘাতক থাইরয়েড ক্যানসার, এই ৬ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন

রাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি

সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : দুদু

ইতিহাসের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁনের পোস্ট

রাকসু নির্বাচন : ১৭ কেন্দ্রের ৯৯০ বুথে ভোট গ্রহণ

‘নিজের বিচারের দাবিতে’ কলেজ শিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচি

জেলা আ.লীগের উপদেষ্টাসহ কারাগারে ২

‘উসকানিমূলক পোস্ট ও পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা’

১০

এশিয়ার আরেক দেশে জেন-জি বিক্ষোভ শুরু

১১

প্রয়াত সাংবাদিক আরিফিন তুষারের পরিবারের পাশে আবু নাসের

১২

 ‘নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না’

১৩

গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত, অবৈধ হচ্ছে ডাকসুর জিএস পদও

১৪

বাঁচা-মরার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১৫

রিজার্ভ আরও বাড়ল

১৬

করাচির সাত্তার বকশের কাছে পরাজিত স্টারবাকস

১৭

ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে জিরো টলারেন্স : মহাপরিচালক

১৮

যুবলীগ নেতাকে বেআইনি সুবিধা, কোর্ট পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

১৯

‘রাকসু নির্বাচনে ২ হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে’

২০
X