ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে (আইজিসিসি) একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। হিন্দি পাখওয়াড়া-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
গত ১৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই পক্ষকালব্যাপী উৎসবের লক্ষ্য ছিল হিন্দি ভাষার প্রচারের পাশাপাশি ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্যকে তুলে ধরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রী পবন বাধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপকরা এতে অংশগ্রহণ করেন। আইজিসিসি এ উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, এবং অন্তাক্ষরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রী পবন বাধে বলেন, হিন্দি পক্ষ কেবল হিন্দি ভাষার উদযাপন নয়, বরং ভারতের ভাষাগত ঐতিহ্যের গভীরতা ও বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপলক্ষ। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত ২২টি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ভাষা এবং শত শত আঞ্চলিক ভাষার দেশ, যেখানে প্রতিটি ভাষা শতাব্দীর জ্ঞান ও সংস্কৃতির ধারক।
তিনি বলেন, প্রতিটি ভাষা আমাদের সমৃদ্ধ করে, প্রতিটি লিপি ও কবিতা আমাদের ঐতিহ্যকে বাড়িয়ে তোলে, এবং প্রতিটি লোকসংগীত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও মজবুত করে।
তিনি ভারতের শাস্ত্রীয় ভাষাগুলোর, বিশেষ করে সংস্কৃতের, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বের উপর জোর দেন। যা এশিয়ার দার্শনিক ও সাহিত্যিক চিন্তাধারাকে হাজার বছর ধরে গঠন করেছে। তিনি বাংলাকে ভারত সরকারের শাস্ত্রীয় ভাষা হিসেবে সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানান। এটিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার একটি গর্বের মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীমতি সুষ্মিতা সেন চৌধুরী ও তার দলের মনোমুগ্ধকর হিন্দি গানের পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
মন্তব্য করুন