আগামী সাত দিনের মধ্যে দুই দফা দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজকুনিপাড়া বিজয় সরণি টাওয়ারে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এই হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
দাবিগুলো হলো, কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ আদায় এবং মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি বাতিল আদেশ প্রত্যাহারসহ সারাদেশে বস্তি পুনর্বাসন।
এই দুই দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা গত ৯ আগস্ট থেকে টানা ৫০ দিনযাবৎ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানী ঢাকায় প্রতীকী হরতাল পালন করে আন্দোলনকারীরা। ১৫ মিনিটের প্রতীকী হরতাল পালন শেষে বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ আদায় এবং মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি বাতিল আদেশ প্রত্যাহারসহ সারাদেশে বস্তি পুনর্বাসনের দাবিতে আমরা টানা ৫০ দিনযাবৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার দাবি বাস্তবায়ন করেনি। আজ পুলিশ আমাদের ৫ জন বস্তিবাসীকে আটক করে নিয়ে গেছে। আটকরা হলেন, শিউলী, বিপ্লব, রাসেল, মুস্তাকিম ও জেসমিন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান কর্মসূচির স্থানে হামলা করে সব তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে কিছু লোক এসে আমাদের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।’
আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের আটক ৫ জনকে দ্রুত ছেড়ে দিন। আমাদের লুট হওয়া মালামাল ফেরত পেতে সহায়তা করুন। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি দুটি মেনে নিতে সরকারকে বারবার অনুরোধ করছি, কিন্তু সরকার সাড়া দিচ্ছে না। আবারও অনুরোধ করছি, আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা পুনরায় হরতালসহ আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
এ সময় সংগ্রাম পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নূরতাজ আরা ঐশী, বস্তিনেত্রী জেসমিন, শিউলি রুবিয়া ইয়াসমিন, মুস্তাকিমসহ বস্তিবাসী এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্য আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পরে জানানো হয়, রাত ১০টার দিকে পুলিশ আটক করা ৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে।
মন্তব্য করুন