বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটি ইসলামী দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বিএনপির কোনো কিছু বদলাতে হয় না। বিএনপির পরিচয় এ দেশের মানুষ।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্রীশ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মন্দির পরিদর্শন ছাড়াও সেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রিজভী।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপির তরফ থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কোনো সম্প্রদায় যখন অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে বসবাস করে, তখন ওই সম্প্রদায়ের বড় উৎসব সবার উৎসবে পরিণত হয়। উৎসব কখনো বিভাজন করে না। উৎসব মানুষে মানুষে সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। এইসব উৎসবের দিনে আমরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাই।
তিনি বলেন, ধর্ম আলাদা হলেও আমাদের জাতিসত্ত্বা এক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন আমাদের সবার। সেখানে ধর্মের কোনো দেয়াল নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য বিভাজন তৈরি করেছিলেন। তবে আমাদের মাঝে কোনো বিভাজন নেই। এটাই বাংলাদেশের সৌন্দর্য। সব ধর্মের মানুষ একসাথে কাজ করছে বলেই সব চক্রান্ত নস্যাৎ করা যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, নানা ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। প্রত্যন্ত এলাকায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। পূজার এই সময়টাকে তারা কাজে লাগাতে ব্যস্ত। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই মদদ বহু আগে থেকেই দিয়ে আসছে একটি পক্ষ। দেশের এক ইঞ্চি জমির প্রতিও যদি কেউ কু-নজর দেয়, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এ দেশে হিন্দু-মুসলিমে কোনো বিভেদ নেই। আমাদের খাবার, পোশাক, চিন্তা- সব এক।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, শ্রীশ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক তপন কুমার বসু (মিন্টু) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, শ্রীশ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক তপন কুমার বসু (মিন্টু) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন