কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০৮:০২ পিএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রামরুর প্রতিবেদন

অতিরিক্ত তাপ মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

নির্মাণ কাজ করছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত
নির্মাণ কাজ করছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত

অতিরিক্ত তাপ মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে তাপজনিত বিভিন্ন রোগে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

‘প্রাণঘাতী তাপ : উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসী কর্মীদের ওপর চরম তাপমাত্রা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বড় অংশ কাজ করে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে। দিনের বেলায় প্রচণ্ড তাপের মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়। এতে তাপজনিত নানা রোগে শুধু কিডনি নয়, মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব দেশে তাপ আরও বাড়ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে অতিরিক্ত তাপ।

রামরুর প্রতিবেদন বলছে, চরম তাপ ও সূর্যালোকে দীর্ঘ সময় কাজ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করে, যার জন্য আজীবন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এর ফলে অকালমৃত্যু ও অক্ষমতা হয়। দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি শরীরে ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করে এবং শ্বাসতন্ত্র ও হৃদ্রোগ, বহুমূত্র রোগ, কিডনি রোগের প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। কুয়েতের একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গ্রীষ্মের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য ঝুঁকি গড়ে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চল দীর্ঘ সময় ধরে উত্তপ্ত থাকে। বছরে ১০০ থেকে ১৫০ দিনের জন্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বৈশ্বিক তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে কুয়েত, বাহরাইন ও সৌদি আরবের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৮০ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য) ছয়টি দেশে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বছরে ১০ হাজার প্রবাসী মারা যান বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়, তাদের প্রতি দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কোনো অন্তর্নিহিত কারণ কার্যকরভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। প্রাকৃতিক কারণ বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হিসেবে মৃত্যুসনদ দেওয়া হয়। বিপজ্জনক ঝুঁকি সত্ত্বেও কর্মীদের ওপর তাপের প্রভাব সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তাপসংক্রান্ত কারণে প্রাণহানি বা কোনো মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রাপ্ত তথ্যের কোনো নিবন্ধন নেই।

কর্মীদের আবাসন, পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে রামরুর প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন রামরুর নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তীব্র গরমেও জনসমুদ্র চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড

কোহলি অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে, আশাবাদী বিসিসিআই

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নতুন অভিযান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’

লঞ্চ ঘাটে তরুণীদের মারধর, সেই যুবক আটক

মিছিল নিয়ে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ফিলিস্তিনের গাজায় ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল

তীব্র গরমে নগরবাসীকে ডিএনসিসি প্রশাসকের সতর্কতামূলক বার্তা

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে : গণপূর্ত উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামবাসী

১০

উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায় 

১১

চট্টগ্রামে দলে দলে আসছে বিএনপির নেতাকর্মী

১২

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার হলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক শিবলুর রাহমান 

১৩

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, অতিষ্ঠ জনজীবন

১৪

মশার উপদ্রব কমাতে বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখার আহ্বান

১৫

ঢাবির হলে ছাত্রদল নেতার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

১৬

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পাক-সেনাপ্রধানের কী কথা হলো

১৭

সিলেট সীমান্তবর্তী ভারতের তিন জেলায় কারফিউ জারি

১৮

চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ, সিআরবিতে নেতাকর্মীদের অবস্থান 

১৯

জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২০
X