কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কৃষি জমি অর্থনীতির প্রাণ এবং খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি : ভূমিমন্ত্রী

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। ছবি : সংগৃহীত
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। ছবি : সংগৃহীত

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, কৃষি জমি কেবল শস্য উৎপাদন ক্ষেত্র নয়, কৃষি জমি অর্থনীতির প্রাণ ও খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন।

সভায় ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমান খসড়া আইনটি উপস্থাপন করেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়নে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের জন্য ভূমির মতো অমূল্য সম্পদ রক্ষার জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করা জরুরি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দীর্ঘমেয়াদী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এই আইনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন, বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ রোধ, ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা, কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিংয়ের মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।

টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অবিচল অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

এসময় উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা এক যুগান্তকারী আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। উন্মুক্ত মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক খসড়ায় প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোজন করা হয়েছে।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ ২২টিরও বেশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজার ফুটবল পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ

চাকসু নির্বাচন / ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীকে সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

বিয়েতে বন্ধু না আসায় কবুল বলেনি বর

চাটুকারিতাকে যেভাবে পররাষ্ট্রনীতিতে রূপ দিলেন শেহবাজ শরিফ

ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য শরিয়াভিত্তিক হাউস-কার লোন চালুর পরামর্শ আহমাদুল্লাহর

আগামীর নেতৃত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তার-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

১০

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেননি ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী 

১১

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

১২

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

১৩

জুলাই আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্ররা : ভিপি সাদিক

১৪

রাকিবের গোলে হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

১৫

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু

১৬

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল

১৭

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমার নাগরিক নিহত

১৮

গাজা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্র-মিসর-কাতার-তুরস্ক

১৯

নাগরিক সংলাপে বক্তারা / বিআরটিএর সেবা বেসরকারি খাতে দেওয়া উচিত হবে না 

২০
X