এম এম মুসা
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কালবেলাকে বিশেষ সাক্ষাৎকার

অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-একটি অংশ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন

ড. সাইমুম পারভেজ
অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-একটি অংশ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-একটি অংশ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন

ড. সাইমুম পারভেজ : বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহকারী, অসলোর নরওয়েজিয়ান স্কুল অব থিওলজি, রিলিজিয়ন ও সোসাইটির জ্যেষ্ঠ গবেষক (সহযোগী অধ্যাপক)। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিএনপির অবস্থান, আগামী নির্বাচন, নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবসহ নানা বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন।

কালবেলা : গত এক বছরে বাংলাদেশের রাজনীতি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে, একটি অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে এবং ছাত্ররা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। একদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি অন্যদিকে নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা, সবমিলে এই মুহূর্তের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

সাইমুম পারভেজ : ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় অনেক ধরনের বাগ-বদল ঘটেছে। আমরা এখন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বসবাস করছি। আজ থেকে হয়তো দশ বছর বা ২০ বছর পর আমরা এই সময়ের গুরুত্বটা বুঝতে পারব। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। সেই পতনের পর বাংলাদেশের একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। এই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর যাত্রা যতটা সহজ হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। আমরা দেখেছি অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রথমে সব রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো মিলে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই সমর্থনকে পুঁজি করে সরকারের একটি অংশ এই ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে।

মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ দায়িত্ব দিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, দীর্ঘস্থায়ী বা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়। কিন্তু অনেকের মধ্যে আমরা একটি ধারা বা প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি যে, এই সরকার অন্তবিহীন সরকারে পরিণত করার ইচ্ছে পোষণ করছেন। একই সঙ্গে এই ধরনের চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র আমাদের নজরে এসেছে বা আমরা শুনতে পাচ্ছি। এই ধরনের প্রচেষ্টা সবসময়ই গণতন্ত্রের পথযাত্রাকে ব্যাহত করবে। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা হবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।

সংস্কার এবং নির্বাচনকে সাংঘর্ষিকভাবে নেওয়া হয়েছে। অনেকে বলার চেষ্টা করছেন যে, একটি নির্বাচিত সরকার আসলে আর সংস্কার হবে না। কিন্তু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপনি কখনোই কয়েক মাসের মধ্যে বা এক বছরের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করতে পারবেন না। সংস্কার যেহেতু একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, তাই সেটি রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই হতে হবে। সুতরাং আমরা এই অন্তর্বর্তী সময়ে কোন কোন বিষয়ে আমাদের সংস্কার প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি করতে পারি। কিন্তু সংস্কার হওয়া উচিত নির্বাচিত সরকারের হাত ধরে।

কালবেলা : প্রশ্ন উঠছে, ১৯৯১ সালে একবার সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সেটা কাজ করেনি। এবারও নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে তারা সংস্কার করবেন তার নিশ্চয়তা কি? এই প্রশ্নটি সামনে রেখেই অন্তর্বর্তী সরকার চাইছে কিছু সংস্কার করে যেতে। আপনি এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?

সাইমুম পারভেজ : সবকিছুতে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের শক্তির জয় হতে হবে। অর্থাৎ একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের হাতে এর ক্ষমতা থাকা। আলোচনার খাতিরে যদি ধরেনি, বিএনপি আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করবে। তারপর বিএনপি যদি তার প্রতিশ্রুত সংস্কার না করে তাহলে জনগণের হাতে ক্ষমতা আছে পাঁচ বছর পর বিএনপিকে আর ভোট না দেওয়ার। মানুষ তখন নতুন সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। অর্থাৎ আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি সেই সংস্কার এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করবে যাতে রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিবিদদের একটি জবাবদিহিতা তৈরি হয়। সেটুকু সংস্কার অবশ্যই করা দরকার।

আপনি যদি রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে অবিশ্বাস করেন এবং অবিশ্বাসের চর্চা করেন, তাহলে সেটা বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করা হবে। বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করা হলে সেটা রাজনীতিবিদদের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করবে। অর্থাৎ যেখানে সমস্যা সেখানেই আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে। সমস্যা যদি রাজনীতিবিদদের বা রাজনৈতিক সিস্টেমের হয় তাহলে সেই সিস্টেমটি পরিবর্তন করা এবং জবাবদিহিতার সম্মুখীন করার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের সাইডলাইনে রেখে সংস্কার করা হবে এবং পরবর্তীতে রাজনীতিবিদরা সে সংস্কার অনুযায়ী চলবেন সেটা সঠিক হবে না। অনির্বাচিত সরকার যদি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করে দেন, এবং ভবিষ্যৎ ক্ষমতায় আসা রাজনীতিবিদরা যদি সেই সংস্কারের সঙ্গে একমত না হন তাহলে তারা আবার তাদের মতো করে সাজাবে। সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হতে হবে। এখানে একটা প্রশ্ন থাকে সেটা হলো - আসলে কী কী সংস্কার প্রয়োজন? এটা এমনও হতে পারে যে আমার কাছে যেটা প্রয়োজন মনে হবে আরেকজনের কাছে সেটা নাও হতে পারে। আমি হয়তো মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোর সংস্কারকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আপনি হয়তো এখানে একমত নাও হতে পারেন। আপনি মনে করতে পারেন, রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্কার। আমাদের মধ্যে এই মতপার্থক্য থাকবে, তবে কোন সংস্কারগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে এই সিদ্ধান্ত আসতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে।

কালবেলা : সংস্কার কেন রাজনৈতিক সরকারের হাতেই হতে হবে? অন্তর্বর্তী সরকারও তো সংস্কার সম্পন্ন করে যেতে পারে?

সাইমুম পারভেজ : এক একটি শ্রেণিপেশার একেকটি কাজ রয়েছে। আপনার জ্ঞান থাকতে পারে, আপনি একজন উচ্চ শিক্ষিত হতে পারেন, কিন্তু যে পেশার যে লোক তাকে সেটা করতে দিতে হবে। আমরা এই সিস্টেম তৈরি করেছি যে, গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় রাজনীতিবিদরাই দল পরিচালনা করবেন সেই সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।

আপনার যত বড় ডিগ্রিই থাকুক, যতই আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা থাকুক, আপনাকে কিন্তু মাটি ও মানুষকে বুঝতে হবে। আপনাকে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিত বুঝতে হবে। আপনাকে দেশের ইতিহাস বুঝতে হবে এবং বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে কোন রাজনীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং খাপ খাবে সেটা বুঝতে হবে। এসব বোঝাপড়া কার সবচেয়ে বেশি? এই বোঝাপড়া বেশি যারা মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে থাকেন সেই রাজনীতিবিদের। আমি আপনি রাজনীতিবিদদের অপছন্দ করতে পারি। আমি তাদেরকে দুর্নীতিবাজ বলতে পারি, বলতে পারি যে তারা আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঠিক প্রতিফলন ঘটাননি। কিন্তু এটাই সত্য, দিনশেষে তারাই সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকেন। তারা ২৪ ঘণ্টা একটি পেশা পালন করেন যে পেশা সবসময় সাধারণ মানুষকে যুক্ত রাখে।

সবচেয়ে দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিকেরও একটি ফলোয়ার গ্রুপ রয়েছে। তারও কিছু মানুষকে উপকার করার ধারা রয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার চলাফেরা রয়েছে বলেই তিনি রাজনীতিবিদ। এ কারণে, একটি দেশ পরিচালনা করার জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, যাদের এই অধিকার রয়েছে এবং সেটা তাদের পেশা তাদেরকেই আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় আনতে হবে। সুতরাং, এখন তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করবেন কিনা, তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন কিনা এবং তাদেরকে এক ধরনের মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখবেন কিনা সেটাই আমাদের দায়িত্ব। এটাই সিভিল সোসাইটির দায়িত্ব। এটা রাজনীতির বাইরের মানুষদের দায়িত্ব। দিনশেষে দেশ পরিচালনা করতে হবে রাজনীতিবিদদের মাধ্যমেই।

কালবেলা : আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রম করলাম। আমাদের যতটুকু অর্জন তার বেশিরভাগ রাজনীতিবিদদের হাতেই হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি, দেশে আদর্শ নির্ভর রাজনীতির চেয়ে স্বার্থ নির্ভর রাজনীতিই বেশি হয়েছে। বহুবার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে এই ধারা পরিবর্তনের, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এখান থেকে বের হওয়ার জন্য আপনার পরামর্শ কি থাকবে?

সাইমুম পারভেজ : গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এমন একটি সময় পার করেছে যা এর ইতিহাসে আগে সেভাবে আসেনি। এখানে রাজনীতিবিদরা খুন হয়েছেন, গুম হয়েছে, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। অনেকে তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, অনেকে আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে শহরে লুকিয়ে থেকে রিকশা চালিয়ে দিনানিপাত করেছেন, অনেক পরিবার নষ্ট হয়েছে। এই ত্যাগ এবং বঞ্চনাকে যদি তারা মনে রাখেন এবং কি কারণে তাদের এই ত্যাগ করতে হয়েছে তা যদি মনে রাখেন তাহলে হয়তো এদেশের রাজনীতি অন্যরকম হবে। আমরা ইতোমধ্যে তার কিছু প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। এখানে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও বামপন্থি ও ধর্মভিত্তিক কিছু দল। এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়ে দ্বিমত লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আবার অনেক বিষয়ে তারা একমতও। যেমন, এতদিন নির্বাচন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে একটি সন্দেহের দোলাচল ছিল। কিন্তু এখন প্রায় সব রাজনৈতিক দলই চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। তিনটি রাজনৈতিক দলই চায় যে কোনো মূল্যে একটি সুস্থ নির্বাচন করতে হবে। তারা সকলেই চায় দেশের পররাষ্ট্র নীতি হবে শিরদাঁড়াসম্পন্ন। সকলেই চাই জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নির্বাচন। ফলে অনেক দ্বিমতের ভিড়েও কিছু ঐকমত্য আমরা দেখতে পাচ্ছি।

রাজনীতি সবসময় আদর্শভিত্তিক হওয়ার দরকার নেই। রাজনীতি যদি র‌্যাশনাল বা যৌক্তিক হয়, একটা দল যদি ক্ষমতা আসার জন্য সুস্থ নির্বাচন এবং দেশ পরিচালনার অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো অনুসরণ করে এবং মেনে চলে, তাহলে আমরা একটি সুস্থ ব্যবস্থাপনা দেখতে পাবো। আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রেবিশেষে কুফলও রয়েছে। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল, বাম-ঘরানার রাজনৈতিক দল বা কট্টোর আদর্শের রাজনৈতিক যে দলগুলো রয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে কিছুটা সংকীর্ণমনা হন। তারা মনে করেন, তারা যেটা ভাবছেন শুধু সেটাই ঠিক এবং একমাত্র ফর্মুলা। দিনশেষে এটা রাষ্ট্রের জন্য ভালো নাও হতে পারে।

কালবেলা : রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির অবস্থান কী, বিএনপি কি ধরনের সংস্কার চিন্তা করছে?

সাইমুম পারভেজ : ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেন। এই ভিশন ২০৩০ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া হয়, বিভিন্ন সিভিল সোসাইটির সঙ্গে আলোচনা হয়। কিন্তু সেটা মিডিয়াতে সেভাবে আসেনি। কারণ সে সময় মিডিয়ার ওপর এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা ছিল, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। ২০২১ সালে বিএনপি ২৭ দফা ঘোষণা করে। এরপর শরিক দলগুলোর সঙ্গে বসে, সকলের মতামত নিয়ে বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণা করে। যদিও আমরা এটিকে বিএনপি'র ৩১ দফা বলি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি শুধু বিএনপির ৩১ দফা ছিল না। এটা ছিল সকল শরিক দলের মতামতের ওপরে ভিত্তি করে তৈরি করা ভিশন। বিএনপি এবং অন্যান্য শরিক দলগুলোর সমন্বিত রাষ্ট্র সংস্কারের/মেরামতের পরিকল্পনা।

২০২৩ সালে বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করছে এবং সেই ওয়ার্কশপগুলোতে তারেক রহমান নিজে উপস্থিত থাকছেন। অনলাইনে যুক্ত থেকে তিনি মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন অর্থাৎ তিনি ওপরে সীমাবদ্ধ না থেকে নিচে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। অনেক সময় সাধারণ মানুষের চাওয়াকে ভিত্তি করে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপি এখনো ৩১ দফা উন্মুক্ত রেখেছে, তারা বলছে এটা ফাইনাল কোনো কিছু নয়। বরং এটাকে আমরা আরও পরিমার্জন করতে পারি, নতুন করে সংযোজন করতে পারি।

দলীয়ভাবে বিএনপির আধুনিকীকরণ শুরু হয়েছে। বিএনপির রাজনীতির মধ্যে জনগণের কথাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা আমরা আশাব্যাঞ্জকভাবে দেখতে পাচ্ছি। কতটুকু সফলতার মাধ্যমে এটা আমরা পালন করতে পারব সেটা সামনের দিনগুলোতে বোঝা যাবে।

কালবেলা : এখন রাজনীতিতে মতামত তৈরির ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম একটি বড় ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি বড় প্রভাব কাজ করছে। এর ভালো এবং মন্দ দিকগুলো কি দেখছেন এবং আগামীর রাজনীতিতে এটি কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?

সাইমুম পারভেজ : বর্তমানে পৃথিবী একটি হাইব্রিড মিডিয়ার যুগ। এই হাইব্রিড ওয়ার্ল্ডের একদিকে অনলাইন মিডিয়া রয়েছে, অফলাইন মিডিয়া রয়েছে এবং পাশাপাশি রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এই প্রত্যেকটা মিডিয়ার আবার একটির সঙ্গে আরেকটির ওভারল্যাপিং রয়েছে। তাই অনলাইন এবং অফলাইন ওয়ার্ল্ডকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ না করাই ভালো। বরং এই দুটি মিলে একটি নতুন পৃথিবী তৈরি করেছে সেই বাস্তবতাটা আমাদের বুঝতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল মিডিয়া সরাসরি ভোটের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা না রাখলেও মানুষের জনমত তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে আরবান মিডিল ক্লাস মানুষের মতামতকে প্রভাবিত করতে বেশ কিছু স্বাভাবিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেলিব্রিটিরা বড় ভূমিকা রাখছেন।

কিন্তু আমাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, অনলাইনে এই মতামত তৈরি এবং এর প্রভাব খুবই ক্ষণস্থায়ী। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজেই ক্ষণস্থায়ী একটি যোগাযোগ মাধ্যম। আমি আপনি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্টোরি বা একটি তথ্য শেয়ার করি সেটার মেয়াদ মতো কয়েক ঘণ্টা। তারপর প্লাটফর্মের অ্যালগরিদম অনুযায়ী সেটা পিছনে পড়ে যায় যদি সেটা ভাইরাল না হয়। ভাইরাল হলে সেটা বারবার রিপ্রডিউস হয়। এখানে একটি মজার বিষয় হলো, একটি কনটেন্ট ভাইরাল হলে আগের ভাইরাল কনটেন্টটি আর সামনে থাকে না। অর্থাৎ একটি দিয়ে আরেকটি ঢাকা পড়ে যায়।

আমরা এমন একটি যুগে বসবাস করছি যেখানে মানুষের মেমোরি গোল্ড ফিসের মতো খুবই শর্ট টার্ম। ফলে এই ছোট মেমোরির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমার দুটোই লাগবে। একটি হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ কনটেন্ট দিয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আস্থা অর্জন করার জন্য আমার কোয়ালিটি কনটেন্টও লাগবে। এই কোয়ালিটি কনটেন্টগুলো হবে দীর্ঘমেয়াদি কন্টেন্ট। বাংলাদেশের বাস্তবতায় আমরা দেখছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রিক ভালো কাজ যেমন হচ্ছে তেমনি অনেক খারাপ কাজও হচ্ছে। আমরা সাম্প্রতিক অনেক মব অ্যাটাক দেখেছি, জোর করে পলিসিকে ইনফ্লুয়েন্স করার অনেক প্রচেষ্টা আমরা দেখেছি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করা ও অন্তর্বর্তী সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি করার একটি প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কালবেলা : বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের প্রেস ফ্রিডম কেমন হবে? মানুষ কি নির্বিঘ্নে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে? সাইমুম পারভেজ : আমরা বিএনপি'র পক্ষ থেকে সব সময় প্রেস ফ্রিডম এর কথা বলছি। আমরা বলছি যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো এরকম কোনো নিপীড়নমূলক আইন আমরা করবো না। আমরা বলছি, র‍্যাব-এর মতো নিপীড়নমূলক কোনো বাহিনী থাকবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব যেখানে রাজনীতিবিদদের নামে কার্টুন ছাপলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমরা আগের বিএনপির আমলেও এই চর্চা দেখেছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির নেতৃত্ব এবং নেতাদের নিয়ে গণমাধ্যমে অহরহ কার্টুন ছাপা হয়েছে। বিএনপি কখনো সেগুলোতে বাধা দেয়নি। আমরা সামনেও বাধা দেব না কারণ এটাই স্বাভাবিক গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

কিন্তু এটাও সত্য, এরকম শিথিলতা ও স্বাধীনতাকে অনেকে মিস ইউজ করতে পারে। এটা এমনভাবে ব্যবহার করতে পারে যেটা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে। ফলে আমাদেরকে এই দুটির মধ্যে এক ধরনের ব্যালেন্স তৈরি করতে হবে। আমরা মনে করি কনটেন্ট এর জবাব কনটেন্ট দিয়েই দেওয়া উচিত। অর্থাৎ আমাদেরকে প্রচুর ইতিবাচক ও রাষ্ট্রের গঠনমূলক কনটেন্ট রেডি করে ভ্রান্ত ন্যারেটিভগুলো মোকাবেলা করতে হবে। ন্যারেটিভ-এর যুদ্ধ ন্যারেটিভ দিয়েই হতে হবে। আওয়ামী লীগ ন্যারেটিভ এর যুদ্ধ বন্দুক দিয়ে করার চেষ্টা করেছিল। এর ফলাফল কি হয়েছে সেটা আমরা দেখেছি। বিএনপি মানুষের বাক স্বাধীনতা রক্ষা করতে চায়।

কালবেলা : ৫ আগস্টের পর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব কতটুকু দেখছেন?

সাইমুম পারভেজ : ভোটের রাজনীতিতে আসলে ধর্মের প্রভাব কতটুকু সেটা বোঝা যাবে ভোটের পরেই। কারণ, গত তিনবার এমন সাজানো নির্বাচন হয়েছে যেখানে কোন রাজনৈতিক দল কত ভোট পাচ্ছে বা জনগণের সমর্থন কতটুকু পাচ্ছে সেটা বোঝার কোনো উপায় ছিল না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো একটি বিস্তৃত এবং এক ধরনের শক্তিশালী উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা দেখে মনে হতেই পারে যে তাদের জনসমর্থন আগের থেকে বেড়েছে। তবে আমি এখনো নিশ্চিত নই। আসলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের জনভিত্তি রয়েছে কিনা সেটা নির্বাচনের আগে বোঝা সম্ভব নয়। তাই আমাদের এটা বুঝতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো।

কালবেলা : গত সরকারের আমলে বিরোধী দলগুলোকে এমনভাবে দমনপীড়ন করা হয়েছিল যে তারা নির্বাচন ও বয়কট করতে বাধ্য হয়। এ সময় আমরা গৃহপালিত বিরোধীদল নামে একটি টার্মও মানুষের মুখে শুনেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কী প্রধান বিরোধী দল বা ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন?

সাইমুম পারভেজ : আগামী যে নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে আমার মনে হয় তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। একটি সুস্থ নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করা সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ছেড়ে যাওয়া নীতি গ্রহণ করবে না বলেই আমরা আশা করব। সে কারণে গৃহপালিত বিরোধীদল বলে কিছু থাকবে না। যারা বিরোধী দল তারা বিরোধীদলই থাকবে। তারা সম্মানের সঙ্গেই বাংলাদেশের রাজনীতি করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে দামি প্রার্থী এবং দামি নির্বাচনের সেই সময় থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে।

আরেকটা বিষয় হলো- অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা নিয়ে, তাদের স্নেহে, ছায়াতলে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার একটি প্রক্রিয়া আমরা দেখছি। কিন্তু মনে রাখা উচিত, জনভিত্তি না থাকলে রাষ্ট্রীয় অর্থ বা সুবিধা ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দলকে গড়ে তোলা যায় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক সময় নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে যখন জনভিত্তি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এটা কোন টপ-ডাউন প্রসেস নয়, বরং এটি একটি বটম-আপ প্রসেস। আপনাকে আগে মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে হবে। এগুলো ছাড়াই যদি অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করেন বা অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন সেটা একটি বোকামির পরিচয় হবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমারও অনেক আশা। আমি তাদের প্রতি আহ্বান করি, তারা নতুন রাজনৈতিক দল করলে রাজনৈতিক দলই করুক। কিন্তু রাজনৈতিক দল করে আবার সরকারে থাকা এই দুটি সাংঘর্ষিক। সরকার থেকে কয়েকজন চলে যাচ্ছেন, আবার কয়েকজন থেকে যাচ্ছেন এটা যে সঠিক হচ্ছে না তা আমরা এমনকি জনগণও বুঝতে পারছে। এ কারণে আমরা আশা করব, তারা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ থাকা উচিত নয়। আর তারা যদি সরকারের অংশই থাকেন তাহলে পরবর্তীতে কখনো রাজনীতিতে বা এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হবেন না এ ধরনের প্রতিশ্রুতি তাদের দিতে হবে। তাদের পরিষ্কার করতে হবে যে, তারা শুধু গণঅভ্যুত্থানের অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, তারা এনসিপির প্রতিনিধি নয়।

কালবেলা : নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান কি? বিএনপি কবে এবং কখন নির্বাচন চাইছে? সাইমুম পারভেজ : বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বারবার বলেছেন, তারা দ্রুত নির্বাচন চান। তারা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শর্তহীন সমর্থন দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে এখনই একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের রোড ম্যাপ কখনো ছয় মাসব্যাপী হয় না। একটি নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে হবে যে এদিন নির্বাচন হবে। নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ থাকবে যেখানে তপশিল ঘোষণার তারিখ, মনোনয়ন জমাদানের তারিখ এবং নির্বাচনের তারিখ সবকিছু পরিষ্কার থাকবে।

সরকার যুক্তি দিচ্ছে, নির্বাচনের জন্য তারা পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রস্তুত করতে পারেনি। কিন্তু এই বিষয়টার সঙ্গে আমরা একমত নই। সরকার যদি পুরো দেশ পরিচালনা করতে পারেন তাহলে একটা দিনে নির্বাচন কেন পরিচালনা করা যাবে না! আমাদের কাছে মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-একটি অংশ হয়তো ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন। এই চেষ্টার টানাপড়েন তাদের মধ্যে চলছে। এ কারণেই হয়তো নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিধা। তারা যে সংস্কারের কথা বলছেন সেটা শুধু একটা অজুহাত। সরকারের উচিত অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং ডিসেম্বরের কত তারিখে নির্বাচন হবে সেটা এখনই ঘোষণা দেওয়া।

শ্রুতিলিখন : মুজাহিদুল ইসলাম

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনো আপস করেননি : কাদের গনি

গাজার জিম্মিদশা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে ধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি তরুণী

ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই ফিট হবেন তাসকিন—আশাবাদী বিসিবি

রাখাইনের প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব চায় বাংলাদেশ : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

দিনদুপুরে প্রাইভেটকার দিয়ে ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল

সিলেটে আইনজীবী পিতাকে খুন, ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণী আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন

নোয়াখালীতে মসজিদের ইমামকে মারধর, গ্রেপ্তার ২

রাজনীতিতে তরুণদের আরও অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১০

মানসিক চাপে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা : ইউজিসি চেয়ারম্যান

১১

‘শিরক’ আখ্যা দিয়ে মাদারীপুরে কাটা হলো শতবর্ষী বটগাছ

১২

পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পেল রোনালদোর ছেলে

১৩

নারী কমিশনের সুপারিশমালার ওপর গণতন্ত্রী পার্টির বিবৃতি

১৪

রোগীদের সুরক্ষা বিষয়ে ইউনিকো হাসপাতালে নার্সিং কর্মশালা

১৫

পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা, ৭ সেনা সদস্য নিহত

১৬

ম্যাডোনার রেকর্ড ভাঙলেন লেডি গাগা

১৭

যে পদ্ধতিতে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচন চায় এনসিপি

১৮

মাতৃত্বের দীপ্তিতে কিয়ারা আদভানির অভিষেক

১৯

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ‘জুলাই ঐক্য’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

২০
X