‘ফিলিস্তিনের জন্য শনিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ’- এ বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
মো. আশাক আশাক : এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। এটাকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের দেশকে শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত হবে না। মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে তাদের পক্ষে দাঁড়ানো প্রয়োজন। আশা করি, বাংলাদেশ সরকার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।
মাসুদ আলম : ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক আমাদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, এই সরকারই বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তারা নিজ দেশের আলেমদের অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের কণ্ঠ রোধ করে রেখেছে। তাদের ফিলিস্তিনের জন্য মায়া কান্নার উদ্দেশ্য হলো সামনে নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়া। আসলে এই রাষ্ট্রীয় শোক পুরো মুসলিম উম্মাহের সঙ্গে একটি তামাশা এবং প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।
বাহাউদ্দিন : আমাদের দেশের আলেম-ওলামাদের ওপর নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং ক্ষমতায় চিরকাল থাকার জন্য সাধারণ জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা; অন্যদিকে ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা- এটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।
মাসুম তালুকদার : আলহামদুলিল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত। সরকারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই।
মোখলিসুর রহমান : রাষ্ট্রীয় শোক পালন সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আরও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করা যেত জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ এবং জাতিসংঘের অধীনে গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর ঘোষণা দিতে পারলে। যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করত।
আয়ন হোসাইন রাহুল : আমাদেরও উচিত কিছু একটা করে তাদের পাশে থাকা। তাই ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক যথাযথ।
উৎস বিশ্বাস : ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা করি তারা সংকট কাটিয়ে উঠুক। স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারাই বিজয়ের শেষ হাসি হাসবে।
মাইনুদ্দিন পাঠান মানিক : অবশ্যই ৯৫% মুসলিম দেশে রাষ্ট্রীয় শোক এটা গ্রহণযোগ্য এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার আরও কঠোর হওয়া দরকার।
সাইফুল হাসান তুহিন : এ সময়ের রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাকে ধন্যবাদ। বঙ্গবন্ধুকন্যা সব সময় ইসলাম ও বিশ্ব মুসলমানদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
আবদুর রহমান মিয়াজান : যে দেশে আলেমদের মর্যাদা নেই, সে দেশে ফিলিস্তিনের জন্য শোক দিবস পালন করা হাস্যকর। পারলে সবাই মন থেকে প্রতিটি নামাজে দোয়া করুন।
মো. জুয়েল রানা : জয় হোক মুসলমানের। ফিলিস্তিনের জন্য শনিবারের রাষ্ট্রীয় শোক পালনে একমত প্রকাশ করছি।
মো তারেকুল ইসলাম : ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য রাষ্ট্রকেন্দ্রিক শোক জানানো হবে এটা খুব ভালো বিষয়। আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু গত কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরায়েল ব্যতীত সব দেশে ভ্রমণের বৈধতা ছিল। কারণ, বাংলাদেশ ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। কিন্তু যখন নতুন পাসপোর্ট এলো তখন সেখানে ইসরাইলের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরাতো জানি ইসরায়েল দখলদার রাষ্ট্র। গুগলে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অব্যাহত। ইসরাইল থেকে আড়ি পাতার মেশিন কিনেছে বাংলাদেশ, এমন অভিযোগ উঠেছে। যে দেশ অন্য দেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না তারাই কেন সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করছে!
ইয়াসিন আরাফাত : আলহামদুলিল্লাহ। এটা একটি ভালো সিদ্ধান্ত। এক দেশে মুসলিমরা নিপীড়িত হবে আর অন্য দেশের মুসলিমরা চোখ গুঁটিয়ে বসে থাকবে এটা মানা যাই না। মুসলিমদের জন্য এটা অনেক দুঃখের বিষয়। তাই প্রতিটি দেশ থেকে কিছু না পারলেও কিছুক্ষণ তাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোক পালন করা উচিত।
শহিদুল ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। এটাও একটা প্রতিবাদ। সে সঙ্গে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দোয়া করি।
সুদীপ সূত্রধর : ইসরায়েলি বর্বরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৩০০ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিষ্পাপ শিশুদের সংখ্যাই হাজারের অধিক। বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে নিউজফিলডে দেখতে পাচ্ছি অসংখ্য নিষ্পাপ শিশুদের আর্তনাদ। যেগুলো দেখলে গা শিউরে উঠছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ইসরায়েল- ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধ সংঘাত সমাধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকা পালন করার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসা উচিত। সর্বোপরি ধন্যবাদ প্রিয় মাতৃভূমিকে, ফিলিস্তিনের জন্য এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করার জন্য।
আজম ভাই : ফিলিস্তিনের জন্য শোক জানানো তখনই সার্থক হবে যখন ইসরায়েলের সব পণ্য বর্জন করা হবে। না হয় সবই বৃথা।
মো. সোহেল তানভীর : অবশ্যই আমি এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের গ্রামের একটি প্রবাদ রয়েছে, ‘আগে নিজের ঘরে বাতি দাও পরে মসজিদে দিও’। নিজের ঘর যদি ঠিক না থাকে মসজিদে বাতি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আপনি ফিলিস্তিনের জন্য শোক পালন করবেন অন্যদিকে আপনার দেশের মুক্তিকামি জনতার ওপরে অত্যাচার চালাবেন ব্যাপারটা বেমানান নয় কি? আমার মতে নিজ দেশের মুসলমানসহ অন্যান্য গোষ্ঠীর সব দাবি ঠিক রেখে অন্য দেশ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।
মো. তারিকুল ইসলাম বিপ্লব : এটি সমর্থন যোগ্য। তবে এটি বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম ব্যবসা। কারণ যে সরকার ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রযুক্তি কিনছে বিরোধীদলকে দমন করতে এবং পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সেই সরকার এই ইস্যু ব্যবহার করে জনগণের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে এটাই বাস্তব।
মীর মশিউর রহমান অপু : আলহামদুলিল্লাহ, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। সরকারকে সাধুবাদ জানাই শোক দিবস ঘোষণা করার জন্য। কিন্তু শুধু শোক দিবস পালন করে বসে থাকলে হবে না। যতটুকু সম্ভব একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে আন্তর্জাতিক মহলে চাপ সৃষ্টি করে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। টাকা-পয়সা-খাবার-চিকিৎসা দিয়ে কিছু মানুষকে সাহায্য করা এটা কোনো সমস্যার সমাধান না। পৃথক রাষ্ট্র যত দিন গঠন করা সম্ভব না হবে তত দিন ফিলিস্তিনের মানুষের পরাধীন জীবনের অবসান করা সম্ভব হবে না। এ জন্য বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশগুলোর এক সঙ্গে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলো কখনোই ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলবে না। আল্লাহ ফিলিস্তিনের মজলুমদের হেফাজত করুন।
রিয়াদ ভূঁইয়া : শুধু শোক পালন করলেই হবে না। আজ মুসলমানদের এই অবস্থার জন্য মুসলমানরাই দায়ী, মুসলিম দেশগুলো দায়ী। কারণ, একটি মুসলিম দেশের কোনো বিপদ এলে আরেকটি মুসলিম দেশ তাদের পাশে দাঁডায় না। যেমনটা করে পশ্চিমারা এক দেশের কিছু হলে অন্য সব দেশ তাদের পাশে দাঁড়ায়।
রিয়াজ ওসমানী : ফিলিস্তিনিদের জন্য মায়া কান্না খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু মনে রাখবেন, এই ফিলিস্তিনিরাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী বলেছিল এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। শোক পালন খুবই ভালো কথা। তবে হামাস যে শুরুতে ১৪০০ নিরীহ ইসরায়েলিদের হত্যা করল সেটার জন্যও বাংলাদেশে এক দিন শোক দিবস পালন করা উচিত।
গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম
মন্তব্য করুন