

দৈনিক কালবেলায় ‘প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির হিড়িক’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
নুর হোসাইন : শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন চক্র কাজ করছে। শিক্ষক নিয়োগ ও জালিয়াতি নতুন কিছু মনে হয় না। যারা এমন চক্রের সঙ্গে জড়িত এদের বিচার হবে না বা হওয়ার নজিরও নেই। তারপরও যতটুকু সম্ভব এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। এমন কঠিন শাস্তি যা দেখে সবারই টনক নড়ে উঠে।
এডি আনোয়ার হোসাইন : প্রথমে এ ঘটনার সম্পূর্ণ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য জোরালো আবেদন করলাম। এ পরীক্ষা যাতে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে হয় সেই জন্য প্রশাসনকে প্রত্যেক পরীক্ষায় সমান গুরুত্বসহকারে চেকিং এবং হলের গার্ড পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে হবে। আশা করি, প্রশাসন এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করবে। এ পরীক্ষায় প্রতীয়মান হয় যে, বিভাগ অঞ্চলে কঠোর নিরাপত্তা দিলেও প্রত্যন্ত জেলা অঞ্চলে এত নিরাপত্তায় পরীক্ষায় নেওয়া সম্ভব হয় না। অনেক স্কুল-কলেজ আছে যারা পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে হলে প্রবেশ করতে দেয়। কিন্তু প্রায়ই স্কুল-কলেজে পরীক্ষার হলে তেমন গার্ড দেওয়া হয় না। অনেক বেশি চেক করে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয় না। যার সুযোগে এমন সুবিধা নিতে পারে। কিছু অসাধু শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এর সঙ্গে বেশি জড়িত থাকতে পারে। যারা জালিয়াতি প্রক্রিয়ায় জড়িতদের সহায়তা করে থাকে।
                                    
কাজী তুষার : দেশের কোনো সেক্টর এখন আর দুর্নীতিমুক্ত নয়। তবে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল যখন দেশ তখনও এভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল না সব সেক্টর। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য চিন্তা হচ্ছে। মূল্যবোধ তৈরি করবে কারা? যারা নিজেরাই দুর্নীতি করে চাকরি নিচ্ছে। মানুষ গড়ার কারিগররাই এখন মূল্যবোধ হারা।
বিএম হানিফ হোসাইন : জালিয়াতি হচ্ছে তা আবারও প্রমাণ হলো। এইভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ সব পরীক্ষায় আরও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হবে। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যারা যুক্ত সবাইকে কঠোর নজরদারিতে আনতে হবে। ওই এরিয়াতে পরীক্ষা চলাকালীন সব ধরনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে হবে।
তাফসির হাসান জিহাদ : পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। সেহেতু শিক্ষক নিয়োগে তো জালিয়াতি চলবেই। এদের বিচারও হবে না। তারপরও যতটুকু সম্ভব এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। যেন সবাই সতর্ক হয়।
মো. লুৎফুর রহমান : আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের সময় এসেছে। তা হলো পরীক্ষায় নকল করা। ন্যায্যতা, সততা এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষায় নকলের সমস্যা মোকাবিলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতারণা শুধু শিক্ষাব্যবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না বরং ব্যক্তির ব্যক্তিগত বৃদ্ধি ও বিকাশকেও বাধা দেয়। পরীক্ষায় নকল বন্ধ করতে এবং একাডেমিক সততা ও সততার সংস্কৃতির প্রচার করার জন্য একটি শক্তিশালী নজরদারি অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন