বিএনপির গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা চালিয়ে একটি সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আরও পড়ুন : সংশোধন হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কয়েকদিনে দেশের অধিকাংশ স্থানে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যৌথ প্রযোজনায় হামলা চালিয়েছে। আর এই হামলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ নিহত হয়েছেন, কেউ চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়েছেন, কেউ হাত পা হারিয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি দলের ‘সম্পূরক শক্তি’ হিসেবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : কম্বোডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত: কাদের
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার হামলা এবং মামলার এক শৃঙ্খল তৈরি করে দেশের জনগণকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে অন্ধকার কূপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নির্মূল করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার মতলব আঁটছে। সেই কারণে বিএনপির গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা চালিয়ে তারা একটি সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় কুমিল্লা, পাবনা, ময়মনসিংহ মহানগর, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, নড়াইল, মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং হামলায় আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানান তিনি রিজভী।
আরও পড়ুন : ইসিকে ৭ দিনের আলটিমেটাম নুরের গণঅধিকার পরিষদের
তিনি বলেন, ১৮ ও ১৯ জুলাই পদযাত্রা এবং ২২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ২ জন নিহত ও আহত প্রায় ৪ হাজার একশ’র বেশি। এছাড়া গত ১৯ মে হতে অদ্যাবধি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে মোট মামলা ৩১৫টি, মোট গ্রেফতার, ১ হাজার ৩৫০টি, মোট আসামি প্রায় ১২ শতাধিক নেতাকর্মী।
ঢাকায় মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আগামী ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে বিএনপির উদ্যোগে আগামী ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ সফল ও সার্থক করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিএনপির ১ দফা দাবির সাথে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন জানিয়েছে। বিএনপির মহাসমাবেশে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ঢল নামবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনছে বিএনপি : কাদের
এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক ছাত্রনেতা মিয়া নূর উদ্দীন অপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নু ও এসএম জাহাঙ্গীর, বর্তমান সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বিরের মুক্তি দাবি করেন রিজভী।
মন্তব্য করুন