রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
তিনি বলেন, আলোচনা ও রাজনৈতিক মতৈক্য ছাড়া এমন স্পর্শকাতর একটা ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাছাড়া দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন অনির্বাচিত সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীতে এনপিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ব্যারিস্টার নাসিম খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত প্রমুখ।
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এমনিতেই শেখ হাসিনার আমলে রাখাইন রাজ্য থেকে ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং এটি এরই মধ্যে বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা চাই না, নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করুক।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সমমনা দলগুলোর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ ধরে গত আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা মনে করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমরা আশা করি, যেখানে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একক সিদ্ধান্ত না নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের নিরাপত্তা সবার আগে।
মন্তব্য করুন