ইসলাম বিদ্বেষী নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের উদ্যোগ না নিয়ে বরং বিতর্ক জারি রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সঠিক হচ্ছে না বলে মনে করে খেলাফত মজলিস। ওই কমিশনবিরোধী আলেম-উলামা ও ইসলামি ব্যক্তিবর্গকে নারীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী হিসেবে চিত্রিত করার অপচেষ্টা চলছে।
বুধবার (০৭ মে) রাতে এক বৈঠকে এসব কথা বলে দলটি। পরে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
দলটির নেতারা বলেন, নারী-পুরুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে একদল অর্বাচীন এই বিষয়ে জলঘোলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ ইসলামে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক, একের ওপর অন্যের অধিকার রয়েছে।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে বিজ্ঞ নারী-পুরুষ স্কলাররা বিভিন্ন আলোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে ওই কমিশনের প্রস্তাবনাগুলোর মৌলিক ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে স্পষ্ট, এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আঘাত দিয়ে প্রণীত প্রস্তাবণাসমূহ কোনোভাবেই এখানে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আমরা অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনাসমূহ বাতিল চাই।
বৈঠকে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আধিপত্যবাদী ভারত প্রতিবেশী পাকিস্তানের মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সে দেশের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়েছে। মূলত ভারতের মোদী সরকার কাশ্মীরের পেহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্যে এই আগ্রাসন চালিয়েছে। আমরা উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
বৈঠকে আরও বলা হয়, ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতা কামনা করছি। বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা সহ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশ্রস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন এবং দেশের সক্ষম সকল নাগরিকের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম, সাহাবউদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, নুর হোসেন, আমির আলী হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন