কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জামায়াত ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নয় : শফিকুর রহমান

দেশের বিশিষ্ট দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলনে বক্তব্যকালে ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
দেশের বিশিষ্ট দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলনে বক্তব্যকালে ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (০৪ অক্টোবর) রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় উলামা কমিটির উদ্যোগে দেশের বিশিষ্ট দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশ জাতি হিসেবে এখানে আমরা হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান দশকের পর দশক বসবাস করে আসছি। পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে কয়টি দেশ আছে উল্লেখ করার মতো, সেখানে বাংলাদেশ বিশেষ স্থানে। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বাকিরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের। কিন্তু আমরা এখানে ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নই।

তিনি বলেন, আমরা যেমন আল্লাহ তায়ালার দরবারে আবেদন করে এই দুনিয়ায় জন্ম নিইনি, অন্য ধর্মের অনুসারীরাও ঠিক তেমনিভাবে জন্ম নিয়েছেন। সবাই আল্লাহর ইচ্ছায় পৃথিবীতে এসেছেন। মানুষের সামনে বিভিন্ন ধর্ম ও মত রয়েছে। আল্লাহ মানুষকে বিচার-বিবেচনা ও বিবেক দান করেছেন। সেই বিবেক দিয়েই মানুষ নিজের জন্য ধর্ম নির্বাচন করবে।

দাঈদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত শাশ্বত বিধান এবং খাতেমুন নাবিয়্যিনের মাধ্যমে প্রাপ্ত আলোকিত দিকনির্দেশনা— আল কোরআনকে জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াত ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা দাঈদের কর্তব্য। কারণ মানুষ সমাজবদ্ধ প্রাণী, এই সত্য উপেক্ষা করার সুযোগ কারও নেই।

তিনি বলেন, এখানে যারা আছেন, তারা মানুষকে সত্য ও সুন্দর সমাজ গঠনে অনুপ্রাণিত করেন। কল্যাণকামী হতে উদ্বুদ্ধ করেন। ঠিক যেমন রাসুলে কারিম (সা.) মানবজাতির প্রতি তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন, দাঈ ইলাল্লাহ হিসেবে মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাংবাদিকদের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দাবি 

কর্ণফুলী টানেলে মিনিবাস উল্টে আহত ৪

মার্কস অলরাউন্ডারে ১ কোটি টাকারও বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি

চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় এবার আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতাসহ ৪১ জন

রাবির ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

বিএফইউজে নির্বাহী কমিটির সভা / নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনসহ ১০ দফা দাবি

সুরাহা না হলে রাজপথে থেকেই ‘জুলাই সনদ’ আদায় করে নিতে হবে : হাদি

দরপত্র ছাড়াই কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বনের গাছ বিক্রির অভিযোগ

১০

ফ্লোটিলার জাহাজে ড্রোন হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু

১১

ভারতকে ট্রফি না দেওয়ায় জাতীয় সম্মাননা পাচ্ছেন মহসিন নকভি

১২

সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৩৭ অধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠাল ইসরায়েল

১৩

মা ইলিশ রক্ষায় কীর্তনখোলা নদীতে নৌ-র‍্যালি

১৪

পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজবীর কারাগারে

১৫

জামায়াত ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নয় : শফিকুর রহমান

১৬

সাংবাদিক হায়াত হত্যা, জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

১৭

দুর্গোৎসব পরবর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারভেজ মল্লিক / বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির অনেকটাই ধরে রেখেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

১৮

বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা

১৯

প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিতে প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান

২০
X