ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে বরিশালে নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে কীর্তনখোলা নদীতে এ র্যালি বের হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তর, র্যাব, নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা অংশ নেন। র্যালিটি কীর্তনখোলা নদীর বেলতলাসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে অংশ নেওয়া স্পিডবোট এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো নানা রঙের বেলুন দিয়ে সাজানো হয়।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের সহায়তায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। জেলেদের জন্য পর্যাপ্ত চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত বছর দু-একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই এবছর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন হবে। ২২ দিন পর আবার জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারবে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, বরিশালের মেঘনা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে নৌ-পুলিশ ও হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে ড্রোন উড়িয়ে নজর রাখা হবে। এছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য জেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল জেলায় মোট জেলের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে কার্ডধারী জেলে ৬৬ হাজার ৫২৪ জন। কার্ডধারী জেলেদের জন্য ১ হাজার ৬৬৩ দশমিক ১ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাবে।
রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকার করলে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ জড়িমানা করা হবে।
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় নদী-সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
মন্তব্য করুন