

বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগী হওয়া আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার পরে দোতলায় বেলকনিতে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের যার যতটুকু অবস্থান আছে সেখান থেকে আমরা আমাদের দেশটাকে নতুন গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা সচেষ্ট হই। কোথাও যদি রাস্তায় কাগজ পড়ে থাকে, ময়লা হয়ে থাকে তখনই সেটাকে আমরা সরিয়ে দেব। এভাবে ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে দেশটাকে গড়ে তুলব।
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এখন সবাইকে অনুরোধ করব, দ্রুত রাস্তাটাকে খালি করে দেন যাতে সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে পারে। সবাই ভালো থাকবেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, আজ এখানে আমাদের কোনো অনুষ্ঠান নেই। আমরা যদি এই রাস্তটা বন্ধ করে রাখি তাহলে সাধারণ মানুষের চলাচলের অসুবিধা হবে। যেহেতু কোনো অনুষ্ঠান নেই। সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব আমরা যেন এখান থেকে চলে যাই। ইনশাআল্লাহ কর্মসূচি যখন নেব তখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখব।
বিকাল ৪টা ৫ মিনিটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। ব্যাপক মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে তারেক রহমানের গাড়ি কার্যালয়ের সামনে যেতে নিরাপত্তা কর্মীদের ভীষণ বেগ পেতে হয়।
বিকাল ৩টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বের হয় তারেক রহমানের গাড়িবহর। নয়া পল্টন সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি তার গাড়িবহর ধীর গতিতে এগোয়। তার গাড়ি যখন কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায় তখন নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু করতালির দিয়ে তাদের নেতাকে শুভেচ্ছা জানায়।
দোতলায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বারে যান তারেক রহমান। বিএনপি চেয়ারপারসনের পাশেই এই কক্ষটি নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য। ১৭ বছর পর নয়া পল্টনে এটি প্রথম তারেক রহমানের অফিস করা।
গতকাল রোববার প্রথম অফিস করেন গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।
লন্ডনে থেকে গত ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপ্রিম কোর্টের জামিন নিয়ে স্বপরিবারে লন্ডন যান। সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।
মন্তব্য করুন