

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা নিশ্চিত করেন।
প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় প্রথমে চট্টগ্রাম-৬ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন গিয়াস কাদের চৌধুরী। ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রামের চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়, যেখানে চট্টগ্রাম-৬ এর জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল গিয়াস কাদের চৌধুরীকে।
গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং ২০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়নপত্র পান।
এরপর ২৭ ডিসেম্বর দলের মহাসচিবের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র পান গোলাম আকবর খোন্দকার। তার ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুন কুমার নাথ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র পেয়েছিলেন এবং সোমবার তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন।’
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘রাউজানবাসী এবং দলের একতা আমাদের শক্তি। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাউজান এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেব। উন্নয়নে দলের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই কাজে রাউজানবাসী এবং দলের নেতাদের সক্রিয় সহযোগিতা চাই।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একই আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন ও প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। রাউজানবাসী এবারের নির্বাচনে প্রার্থীর পরিচিতি, দলীয় নীতি, স্থানীয় কার্যক্রম ও রাজনৈতিক দক্ষতা বিবেচনা করে ভোট দেবেন।
মনোনয়নপত্র জমার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামে নির্বাচনী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল দায়েরের সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির দলীয় কৌশল ও প্রার্থী পরিবর্তন স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। দলীয় নেতৃত্ব ও প্রার্থীর রাজনৈতিক দক্ষতা চূড়ান্ত প্রার্থীর নির্বাচনী সম্ভাবনা নির্ধারণ করবে। নির্বাচনে রাউজানবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ, দলের একতা এবং প্রার্থীর জনপ্রিয়তা চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন