কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাগরিকত্ব নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল

পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে বসবাসের সীমা ও অন্যান্য শর্তাবলি কঠোর করা হবে। ছবি : সংগৃহীত
পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে বসবাসের সীমা ও অন্যান্য শর্তাবলি কঠোর করা হবে। ছবি : সংগৃহীত

অভিবাসীদের নাগরিকত্ব অর্জনের পথকে কঠোর করতে যাচ্ছে ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ পর্তুগাল। শুধু তা-ই নয়, পরিবারিক পুনর্মিলন সংক্রান্ত নীতিমালাও কড়াকড়ি করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইনফোমাইগ্র্যান্টস।

রাজধানী লিসবন বলছে, এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশটির অভিবাসনব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও নিয়ন্ত্রিত করা হবে।

পর্তুগিজ দৈনিক পাবলিকোর বরাত দিয়ে শেঙ্গেন নিউজ জানিয়েছে, দেশটির মন্ত্রিসভাবিষয়ক মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাও আমারো বলেছেন, পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে বসবাসের সীমা ও অন্যান্য শর্তাবলি কঠোর করা হবে।

বর্তমানে পর্তুগালে নাগরিকত্বের জন্য পাঁচ বছর বৈধভাবে বসবাসের প্রয়োজন হয়। তবে নতুন আইনে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ বছর করার প্রস্তাব আনা হয়েছে।

অভিবাসীদের একটি বড় অংশ নিয়মিত হতে আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকে অনুমোদন পর্যন্ত অপেক্ষার সময়টিকে বৈধ বসবাসের অংশ হিসেবে গণ্য করার দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে ১৪ জুন অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে।

দেশটিতে সম্প্রতি নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো জানিয়েছেন, তার সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার।

সরকার জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিবার পুনর্মিলনের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হবে। জনসেবা ও সমাজের অন্তর্ভুক্তি সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া কর্মসংস্থান সংক্রান্ত ভিসা কেবল উচ্চ শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভাষাজ্ঞানকেও মূল্যায়নের একটি অংশ হিসেবে যুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

সরকার বলছে, প্রথাগত অভিবাসনের তুলনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের আকৃষ্ট ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে। যার মধ্যে পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত বা অভিবাসীরাও থাকবেন।

পর্তুগাল হলো সিপিএলপি (পর্তুগিজ ভাষাভাষী কমিউনিটি দেশ) সদস্য দেশগুলোর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। ব্রাজিল, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, কেপ ভার্দে, গিনি-বিসাউ ও সাও তোমে প্রিন্সিপে থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশটিতে পাড়ি জমান বা জমাতে চান।

এর মধ্যে ব্রাজিলীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অনেকেই এখানে কাজের খোঁজে আসেন এবং পরে পরিবার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন। নতুন নীতির কারণে এই সুযোগ সীমিত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোস্তারির অর্ধশতকে অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

‘ভর্তির পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ পাস করেনি’

সর্বপ্রথম কোথায় আজান হয়েছিল, কার কণ্ঠে?

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হবে : মির্জা ফখরুল

রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর

যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত, আন্দোলনরত শিক্ষকদের বড় কর্মসূচি ঘোষণা

গাজায় সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া!

রংপুর ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ ৫

‘ইলেকশন ইন ফেব্রুয়ারি’ স্লোগানে ঢাবিতে ছাত্রদলের মিছিল 

টাঙ্গাইলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪

১০

নেসলের ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

১১

বাবা হলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

১২

রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু

১৩

র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে উইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশকে কী করতে হবে?

১৪

এক যুগ পর আবার মঞ্চে পালাকারের ‘ডাকঘর’

১৫

অবশেষে হাত মেলালেন ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা

১৬

যে উপায়ে পেঁয়াজ কাটলে চোখের পানি ঝরবে না

১৭

‍‌‌‘রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নির্ভয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে কালবেলা’

১৮

‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে কালবেলা জনগণের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে’

১৯

চমক রেখে ওয়ানডে দল ঘোষণা বাংলাদেশের

২০
X