কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৬ এএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান লাভের দোয়া

এক মুসলিম দম্পতি এবং তাদের বাচ্চা  ।  ছবি : সংগৃহীত
এক মুসলিম দম্পতি এবং তাদের বাচ্চা । ছবি : সংগৃহীত

সুসন্তান মহান আল্লাহতায়ালার নেয়ামতগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অনেক সময় বিপথে চলে যায়। মা-বাবার অবাধ্য হয়ে পড়ে। এমনকি ইসলামের বিধিবিধানের ধারেকাছেও যায় না। তাই সুসন্তান লাভের জন্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন আমল রয়েছে। এসব আমল কেবল সন্তানের জন্যই নয়; বরং নেক স্ত্রী লাভ, নিঃসন্তান থেকে মুক্তি, সুসন্তান লাভ, সন্তানকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা, এমনকি দ্বীনদার ও পরহেজগার সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সেসব দোয়া থেকে কতিপয় কালবেলা অনলাইনের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান লাভের দোয়া

وَ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا

অনুবাদ : ওয়াল্লাজিনা ইয়াকুলুনা রব্বানা হাবলানা মিন আঝওয়াজিনা ওয়া জুরিরিইয়াতিনা কুররতা আ’ইয়ুনিউওয়াজ আলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থ : আর যারা বলে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন, যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদের মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন।’

সন্তান লাভের দোয়া

رَبَّهٗ ۚ قَالَ رَبِّ هَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ

উচ্চারণ : রব্বাহু ক্বলা রব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা ঝুররিয়্যাতি তয়্যিবাতি ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।

অর্থ : ‘হে আমার রব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সুরা আলে ইমরান : ৩৮)

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

উচ্চারণ : রব্বি হাবলি মিনাস স-লিহীন।

অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নেককার সন্তান দিন। (সুরা সফফাত, আয়াত : ১০০)

নিঃসন্তান থেকে রক্ষার দোয়া

رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّاَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ

উচ্চারণ : রব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খয়রুল ওয়ারিছিন।

অর্থ : হে আমার মালিক! তুমি আমাকে নিঃসন্তান করে রেখে দিও না, আর তুমিই হচ্ছো সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী। (সুরা আম্বিয়া : ৮৯)

সন্তানের দ্বীনদারির জন্য দোয়া

সন্তান যেন দ্বীনদার হয় এবং দ্বীনের দায়িত্বে উদাসীন না হয়, সে জন্য পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়াটি হলো

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء

উচ্চারণ : রব্বিজ আলনি মুকিমাস সলা-তি ওয়ামিন জুররিয়্যাতি, রব্বানা ওয়া তাকব্বাল দোয়া।

অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামাজ আদায়কারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও। হে আমার প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল করুন। (সুরা ইবরাহিম : ৪০)

সন্তানের নিরাপত্তার জন্য দোয়া

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الأَصْنَامَ

অর্থ : ‘যখন ইবরাহিম বলেছিল, হে আমার পালনকর্তা! এ নগরকে নিরাপদ-শান্তিময় করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের মূর্তি-প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রাখুন।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৩৫)

সন্তানের নিরাপদ জীবিকার জন্য দোয়া

رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُواْ الصَّلاَةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ

অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি ও আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের কাছে; হে আমাদের প্রতিপালক! এ জন্য যে তারা যেন নামাজ কায়েম করে। অতএব, কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে দিন এবং ফলফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকা দান করুন, যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।’(সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৩৭)

শয়তান থেকে মুক্তির দোয়া

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিই একজন রাখাল এবং সবাই তাদের অধীনদের দায়িত্বশীল। একজন ব্যক্তি তার নিজের পরিবারের জন্য রাখাল এবং তাদের ওপর সে দায়িত্বশীল।' (বুখারি ও মুসলিম)

বিশ্বনবী (সা.) প্রায়ই হজরত হাসান (রা.) ও হজরত হুসাইনের (রা.) নিরাপত্তার জন্য দোয়া করতেন। তা হলো আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত,

أُعيـذُكُمـا بِكَلِـماتِ اللهِ التّـامَّة، مِنْ كُلِّ شَيْـطانٍ وَهـامَّة، وَمِنْ كُـلِّ عَـيْنٍ لامَّـة

উচ্চারণ : উয়িজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি, মিন কুল্লি শায়ত্বনিও ওয়া হাম্মাতি, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লিআম্মাতি।

অর্থ : আমি তোমার জন্য আল্লাহর কালেমার সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি সব ধরনের শয়তান, হিংস্র প্রাণী এবং বদনজরের বিপদ থেকে। (বুখারি : সুনানে আবি দাউদ : ৪৭৩৭)

হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রাত ঘনিয়ে আসে, তোমাদের শিশুদের ঘরের ভেতর রাখ। কেননা শয়তান এ সময় বেরিয়ে আসে। রাতের কিছু সময় পার হওয়ার পর তোমরা তাদের ছাড়তে পারো। (বুখারি ও মুসলিম)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে আ.লীগ নিষিদ্ধের মঞ্চ

বিমানে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে ট্রাম্প প্রশাসন

পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা, ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়িবহরে হামলা

ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

পাকিস্তানে আরেকটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত

‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’

বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর

এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা / নিহত ৪ জনের দুজন ছিলেন মসজিদের ইমাম

১০

রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে গেল দৃশ্যপট

১১

যমুনার সামনে রাতভর যা যা হলো

১২

কয়টি রাফায়েল আছে ভারতের, একেকটির দাম কত?

১৩

ফের গোলাগুলি শুরু, উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে

১৪

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নাক গলাতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র

১৫

দুপুরের মধ্যেই আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ড. মাসুদের

১৬

সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে

১৭

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশুরা

১৮

আগুনে ঘি ঢালা নয়, শান্তি চাই : এরদোয়ান

১৯

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২০
X