ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান পাকা ব্যবসায়ী। এটা কমবেশি সবাই জানে। করোনার সময় জানা যায় তার কাঁকড়া ব্যবসার কথা। সেই সময় হয় বেশ হট্টগোল। তার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা পাওয়া টাকা চেয়ে মানববন্ধন করে, এতে সামনে তার কাঁকড়ার ব্যবসা।
সে সময় যত দ্রুত সম্ভব পাওয়া টাকা পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাকিব। তবে ধারাবাহিক লোকসানে লাটে ওঠে সেই ব্যবসা। ফলে এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সেই পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
এদিকে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এতে তিনি আর দেশে ফিরবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে সেই পাওনা ব্যবসায়ীরা আর পাবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাতক্ষীরার স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ এখনও ১৩-১৪ জন চাষী সাকিবের কাছে টাকা পাবেন। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক কোটির মতো।
গুরুদাস নামের এক চাষী বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খামারে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাঁকড়া সরবরাহ করেন। তবে সেই পাওনা বুঝে পাননি তিনি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেই টাকার শোকেই গুরুদাস স্ট্রোক করে মারা যান।
এ ছাড়া লিজ নেওয়া জমির মালিকরাও টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন চুক্তির টাকা দিতে সাকিব গড়িমসি করেছেন। পাওনা টাকার দাবিতে দুই বছর আগে জমির মালিকরাও মানববন্ধন করেছিলেন। তখন কিছু টাকা দিয়ে তাদের শান্ত করা হয়।
এ ছাড়া অভিযোগ করেন চুক্তি ভঙ্গ করে জমিতে ভবন নির্মাণ করেছেন সাকিব। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেশের বাইরে চলে যান তিনি। সেই আন্দোলনে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের।
জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। ফলে তার দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। জাতীয় দলে আর খেলবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। ফলে পাওনা টাকার জন্য বাড়ছে কাঁকড়া চাষীদের হাহাকার। সেই টাকা না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।