সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তামিমের চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব যার

সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল। পুরোনো ছবি
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল। পুরোনো ছবি

ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। এরপরই শুরু হয় চিকিৎসা। এতে করে দ্রুততম পদক্ষেপের মাধ্যমে তার হার্টে রিং পরানো হয়। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান। এ যাত্রায় সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের দাবিদার মোহামেডানের ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরীর।

জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার সময় বুকে পাঞ্চ করছিলেন ইয়াকুব চৌধুরী। জরুরি মুহূর্তে রোগীর প্রাণ বাঁচাতে এটি সবচেয়ে জরুরি কাজগুলোর অন্যতম। হঠাৎ করে কেউ কোনো সাড়া না দিলে দ্রুততম সময়ে কার্ডিও–পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করতে হয়।

সিপিআরের অন্যতম কাজ হলো রোগীর বুকে পাঞ্চ করা। হৃৎপিন্ড নিঃসাড় হয়ে গেলে সিপিআরের সিপিআরের মাধ্যমে আবার স্পন্দন ফেরানোর প্রচেষ্টা করা হয়। সফল সিপিআরে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচে। তামিমের কঠিন মুহূর্তে ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরী সিপিআর করেন।

এর আগে চিকিৎসকরা জানান, মাত্র কয়েক মুহূর্তের ভুল সিদ্ধান্তই কেড়ে নিতে পারত তামিমের জীবন। হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এজন্য হেলিকপ্টার প্রস্তুতও ছিল। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তুললে হয়তো তামিমকে আর ফিরে পাওয়া যেত না।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। প্রথমে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা ভেবে ওষুধ নেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। তাকে দ্রুত সাভারের কেপিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় তিনি নিজেই ঢাকায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে বলেন।

তবে ঠিক তখনই ভয়ংকর এক সংকট তৈরি হয়। বিকেএসপির অভিজ্ঞ কোচ মন্টু দত্ত গণমাধ্যমকে জানান, যখন হেলিকপ্টার নামানো হলো, তখন তামিম বুঝতে পেরে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন এবং বিকেএসপির দিকে ফিরে যেতে চান। কিন্তু পথে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। চিকিৎসকরা তখন জানান, তাকে আকাশপথে নিলে হয়তো আর বাঁচানো সম্ভব হবে না।

শেষ মুহূর্তের সেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই হয়তো আজ তাকে জীবন দিয়েছে। দ্রুত কেপিজি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক শনাক্ত করেন এবং সফলভাবে রিং পরানো হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রাজিব জানান, ‘স্টেন্টিং খুবই কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীজুড়ে চেকপোস্ট, পুলিশের তল্লাশি

জবিতে ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটি

নাশকতার প্রস্তুতির সময় আ.লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার 

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ 

দেশের প্রথম এআই প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রদর্শনী

স্থানীয়দের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপির প্রার্থী রবিন 

আবু সাঈদের মৃত্যু কীভাবে, জানালেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

সাবেক এমপি হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল পূজা উদযাপন পরিষদ

২০ বছরেও নির্মাণ হয়নি ধসে পড়া সংযোগ সড়ক

৩৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি

১০

দুই কৃষকের আড়াই লাখ টাকার পেঁয়াজ চারা নষ্ট

১১

র‍্যাবের অভিযানের সময় সন্ত্রাসীর এলোপাতাড়ি গুলি, গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ

১২

মহাসড়কের বিভাজকে লাগানো গাছ কেটে ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

১৩

তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমুজ্জামানের

১৪

কেরানীগঞ্জে থানায় আগুন

১৫

রাজধানীতে বিদেশি রিভলভারসহ ১ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার 

১৬

মারুফার সেই কান্না নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন জ্যোতি

১৭

আমার নির্বাচনী এলাকায় কোনো মাদকসেবী দেখতে চাই না : বাবর

১৮

এস আলমের স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের আদেশ স্থগিত

১৯

বিএনপির দুই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক

২০
X