চার বছর পর আবার মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দুই অধিনায়ক লিটন দাস ও সালমান আগা- দুজনই তুলে ধরলেন দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক পরিচিতির বিষয়টি।
পাকিস্তানের ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে ৯ জন খেলেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। অন্যদিকে, বাংলাদেশেরও কয়েকজন খেলোয়াড় সাম্প্রতিক সময়ে অংশ নিয়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। ফলে দুই দলেরই একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, “এটা তো দারুণ একটি ব্যাপার। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করার সুযোগ থাকে। এতে করে কেবল ক্রিকেট নয়, গড়ে ওঠে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তারা যেমন আমাদের শক্তি-দুর্বলতা জানে, আমরাও তাদের জানি। সুতরাং খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে করি না। বরং এই পারস্পরিক পরিচিতি খেলাটিকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলবে।”
মিরপুরের উইকেট নিয়ে আবারও আলোচনায় এলেন লিটন দাস। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এই উইকেটকে ‘ব্যাটসম্যানদের জন্য ফাঁদ’ হিসেবেই ধরা হয়েছিল। এবার সেই বিতর্কের প্রসঙ্গ হাসিমুখেই স্মরণ করলেন লিটন।
তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, ওই সময় অনেক ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারই একটু নিচে নেমে গিয়েছিল। আমি যদি বোলার হতাম, হয়তো সেই উইকেট আমার ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রেই সহায়ক হতো।”
তবে লিটন স্পষ্ট করে জানান, সবসময় মিরপুরে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হয়- এমনটা নয়। “শুধু ওই দুটি সিরিজেই একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে রান হয়েছে, স্পিনাররা টার্ন পেয়েছে, আবার পেসাররাও সহায়তা পেয়েছে। এটা একটা স্পোর্টিং উইকেট।”
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই লিটন বলেন, “১০ বছর ধরে এভাবেই খেলছি। হ্যাঁ, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়ে একটু ঘাটতি আছে, সেটা আমি জানি। কিন্তু আমি চেষ্টা করি, প্রতিটি অনুশীলনে শতভাগ দেওয়ার।”
উল্লেখ্য, মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে লিটনের সংগ্রহ ৫১০ রান, যা স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর ওপরে। তার উপরে আছেন শুধু মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া সিরিজে বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে বলেই ইঙ্গিত দিলেন অধিনায়ক, “নিজেদের মাঠে খেলাটা সবসময়ই স্বস্তির। আমাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার, কাজ এখন মাঠে সেটা বাস্তবায়ন করা।”
মন্তব্য করুন