আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে নামতেই শ্রীলঙ্কা যেন পড়ল পাকিস্তানের পেস ঝড়ে। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস, কিন্তু তার অর্ধশতকও রক্ষা করতে পারেনি দলকে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা থামল মাত্র ১৩৩ রানে, যেখানে পাকিস্তানের পেস আক্রমণই গড়ে দিল ম্যাচের মোড় ঘোরানো চিত্র।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ছিল ভয়াবহ। শাহীন শাহ আফ্রিদি প্রথম দুই ওভারেই ফিরিয়ে দেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস (০) ও পাথুম নিশাঙ্কাকে (৮)। এরপর কুশল পেরেরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও হারিস রউফের শিকার হয়ে ফেরেন। পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রান তুললেও উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা বোলিংয়ে আনলেন হুসাইন তালাতকে, আর তিনি এলেন এবং দেখালেন। এক ওভারেই শিকার করলেন দুই ব্যাটার—চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকা—ফলে ৭.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে লঙ্কানদের অবস্থা ৫৮/৫।
এই বিপর্যয়ের মাঝেও একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন কামিন্দু। সতর্কভাবে এগিয়ে গিয়ে ৪৪ বলে ৫০ রান তুলে নেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কায়। তবে আফ্রিদির দুর্দান্ত রিভার্স স্যুইংয়ে শেষ পর্যন্ত তার প্রতিরোধও ভাঙে ইনিংসের শেষদিকে।
শাহীন ছিলেন পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা। ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রান খরচে নিলেন ৩ উইকেট। হরিস রউফ ও হুসাইন তালাত নিলেন ২টি করে, আর স্পিন বিভাগ থেকে আবরার আহমেদ পেলেন একটি সাফল্য।
কামিন্দুর একার লড়াইয়ের বাইরে লঙ্কান ইনিংস জুড়ে ছিল উইকেট হারানোর মিছিল। পাকিস্তানের বোলিং পরিকল্পনা এতটাই শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল যে ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত গড়তে পারল কেবল ১৩৩ রানের সংগ্রহ—যা এশিয়া কাপের মতো আসরে যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অপ্রতুলই মনে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন