বিপিএলের এবারের আসরে বলতে গেলে সারপ্রাইজ প্যাকেজই ছিল খুলনা। বলার মতো কোনো দল না গড়েও একের পর এক ম্যাচ জিতেই যাচ্ছিল এনামুল হক বিজয়ের দল। আজকের ম্যাচেও মনে হচ্ছিল যে খুলনার অপরাজিত থাকার রেকর্ড বজায় থাকবে তবে তামিমের বরিশালের অন্য পরিকল্পনা ছিল। বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে শেষ ওভারে গিয়ে খুলনাকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিল তামিম বাহিনী।
সিলেটে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে খুলনা। জবাবে শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
খুলনার দেওয়া চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় দলীয় মাত্র ৭ রানেই ইনফর্ম ওপেনার আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় বরিশাল। চাপে পড়ে আরেক ওপেনার তামিমও সেভাবে ব্যাট চালাতে পারছিলেন না। ধীরগতির ইনিংসে তিনি ১৮ বলে ২০ রান করে ফেরেন। সৌম্য সরকারও বল অনুযায়ী স্ট্রাইকরেট বাড়াতে পারেননি। তার ব্যাটে আসে ২৩ বলে ২৬ রান। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও একই পরিণতি বরণ করেছেন। তিনি করেন ২৫ বলে ২৭ রান।
ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আউট (৪) হয়েছেন দ্রুতই। ফলে ম্যাচটি হাত থেকে প্রায় ফসকাতে যাচ্ছিল বরিশালের। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটি সেই শঙ্কাকে সত্যি হতে দেয়নি। ৫৫ রানের জুটিতে খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দেন শোয়েব মালিক ও মিরাজ। দুজনই সমান একটি করে চার ও তিনটি করে ছয় হাঁকিয়েছেন। অলরাউন্ড পারফর্মের বদৌলতে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৪১ রান ও বল হাতে তিনি ২ উইকেট পেয়েছেন।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এছাড়া একটি করে শিকার ধরেন নাসুম আহমেদ ও নাহিদুল ইসলাম।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুলনাও সুবিধাজনক সুবিধা পায়নি। টপ অর্ডারে তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছিল। সেখানে অবশ্য ব্যতিক্রম ছিলেন নতুন করে একাদশে ঢোকা ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। ২৪ বলে তিনি ৩৩ রান করেন। এছাড়া শেষদিকে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা ছিল মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফের। নওয়াজ ২৩ বলে ৩৮ এবং ফাহিম ১৩ বলে ৩২ রান করেন।
মন্তব্য করুন