২০২২ সালে ১৮ ডিসেম্বর রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতায় ফুটবল মহাতারকার পরা ৬টি জার্সি নিলামে তোলে নিউইয়র্কের ব্রোকার হাউস ‘সোথেবি’। কাতার বিশ্বকাপের গায়ে জড়ানো মেসির সেই জার্সিগুলো বিক্রি হয়েছে ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। যার মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি টাকা।
লিওনেল মেসির মোট ছয়টা জার্সি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হয়েচিল। যে জার্সিগুলো কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রথমার্ধে, সেমিফাইনালে, কোয়ার্টার ফাইনালে, শেষ ষোলো এবং গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচে পরেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। নিলাম থেকে ১ কোটি ডলার আয়ের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল নিলামকারক প্রতিষ্ঠান ‘সোথেবি’। তবে জার্সিগুলো বিক্রি হয়েছে ৭৮ লাখ ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি টাকা।
ফুটবল ম্যাচে পরা জার্সির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল করা ম্যাচে জার্সিটি পরেছিলেন ফুটবল কিংবদন্তি। ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর গত বছর নিলামে জার্সিটি বিক্রি হয় ৯২ লাখ মার্কিন ডলারে। মেসির ছয়টি জার্সিও ম্যারাডোনার জার্সির দামকে পেরিয়ে যেতে পারেনি।
আর খেলাধুলার স্মারক হিসেবে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি জার্সিটি বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেলের জর্ডানের দখলে। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএর চূড়ান্ত পর্যায়ে জর্ডানের পরা জার্সিটি ১ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলারে নিলামে বিক্রি হয়েছিল।
মেসির জার্সির নিলাম নিয়ে সোথেবি জানিয়েছে, নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ দান করা হবে ইউনিকাসের প্রজেক্টে। লিও মেসি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় যেটি পরিচালনা করে সান্ত জোয়ান দে ডিও বার্সেলোনা চিলড্রেনস হসপিটাল। এই প্রকল্প মূলত বিরল রোগাক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করে।
মন্তব্য করুন