সামাজিকমাধ্যমের নতুন অ্যাপ্লিকেশন এনে হইচই ফেলে দিলেন মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ইলন মাস্কের টুইটারকে টেক্কা দিতে মাঠে নেমেই মাত্র সাত ঘণ্টায় কোটির মাইলফলক পেরিয়েছে থ্রেডস।
বৃহস্পতিবার টুইটারের আদলে ‘থ্রেডস’ অ্যাপটি উন্মুক্ত করে মেটা। অ্যাপটি প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানসহ একশটিরও বেশি দেশে ব্যবহার করা যাচ্ছে। থ্রেডসে স্বাগতম জানিয়ে জাকারবার্গ বুধবার এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আসুন এটি ব্যবহার করি।’ আর অ্যাপটি লাইভ হওয়ার পরে ইনস্টাগ্রামের আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যারা প্রথম দিন থেকেই এটি ব্যবহার করছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ খবর—আলজাজিরা
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এই অ্যাপকে ‘টুইটার কিলার’ হিসেবে অভিহিত করছেন। তবে থ্রেডসের সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি টুইটারে আনা পরিবর্তন নিয়ে যারা অখুশি ছিলেন ‘থ্রেডস’ প্ল্যাটফর্ম সেসব ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। আবার কেউ কেউ ভাবছেন ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে সংযুক্তি থ্রেডের জন্য একটি বড় সুবিধা হতে পারে।
ইনস্টাগ্রামের লগইন ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই থ্রেডস ব্যবহার করা যায় এবং ধারণা করা হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামের ২০ লাখ ব্যবহারকারীর বড় একটি অংশ এই অ্যাপ ব্যবহার করবেন। থ্রেডস অ্যাপটি দেখতে টুইটারের মতোই। এখানে ‘টেক্সটভিত্তিক কথোপকথন’ চালানো যাবে। টুইটারে ১৬০ অক্ষর লেখা গেলেও এই প্ল্যাটফর্মে ৫০০ অক্ষর পর্যন্ত লেখার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আরও নতুন কিছু ফিচার রয়েছে।
থ্রেডস টুইটার থেকেও বড় হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘এটি কিছুটা সময় নেবে। কিন্তু আমি মনে করি ১০০ কোটি ব্যবহারকারী সমৃদ্ধ একটি কথোপকথন অ্যাপ থাকা দরকার। কিন্তু টুইটারের কাছে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এটি করতে পারেনি। আশা করি আমরা পারব।’
প্রতিক্রিয়ায় টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক টিপ্পনি কেটে বলেছেন, ‘যন্ত্রণা লুকিয়ে ইনস্টাগ্রামের মিথ্যা সুখে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে টুইটারে অপরিচিতদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়া বেশি ভালো।’
টুইটার কেনার পর থেকেই বিভিন্ন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি কিছু কঠোর নিয়মও চালু করেছেন ইলন মাস্ক। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে সামাজিক এ মাধ্যম। সেই তালিকায় নিজেদের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন টুইট দেখতে এবার ব্যবহারকারীকে সাইন ইন করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে সেবাটি। এসব কারণে ইলন মাস্কের ওপর বিরক্ত হন ব্যবহারকারীরা। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছেন জাকারবার্গ।
মন্তব্য করুন