পশ্চিম আফ্রিকার দেশ কেপভার্দে উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে নৌকাডুবিতে ৬০ অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শিশুসহ ৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌকাটি গত ১০ জুলাই সেনেগাল থেকে ১০১ জনকে নিয়ে যাত্রা করে। এরমধ্যে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) আটলান্টিক মহাসাগরের সাল দ্বীপ থেকে ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হতে পারেনি। তবে নৌকায় থাকা বাকি ৬০ জনের বেশি অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনেগালেরর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র সাফা মেসেহলি এএফপিকে জানান, কেপভার্দে উপকূলে পৌঁছানো নৌকাটির ৬০ জনের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া নৌকাটি থেকে শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সেনেগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ১০ জুলাই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যাত্রা করেছিল। অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কেপভার্দের সাথে যোগাযোগ করেছে মন্ত্রণালয়।
সালের স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জোস মোরেইরা জানান, উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তারা ম্যালেরিয়ার ও পানিশূন্যতায় ভূগছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নৌকাটিকে প্রথম স্পেনের জেলেরা উপকূল থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে শনাক্ত করে। পরে তারা কর্তৃপক্ষকে জানায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আট্লান্টিক মহাসাগরের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের রুটটি স্পেনে যেতে ব্যবহার করে অভিবাসীরা। গ্রীস্মকালে এ রুটটি বেশ ব্যস্ততম এবং বিশ্বের অন্যতম ঝুকিপূর্ণ রুট হিসেবে পরিচিত।
আইওএম মুখপাত্র জানান, এ পথটিতে নিরাপত্তার অনেক অভাব রয়েছে। পথটি অবৈধ অভিবাসনের জন্য ব্যবহার করে থাকে পাচারকারীরা। ঝুকিপূর্ণ এ পথে অনেক অভিবাসীর মৃত্যুও হয়ে থাকে। সবশেষ এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি সংস্থাটি। তারাও এ বিষয়ে এখনো তথ্য সংগ্রহ করছে।
আইওএম জানিয়েছে, ২০২২ সালে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতে গিয়ে অন্তত ৫৫৯ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ১৫টি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে জুলাইয়ের শেষে সেনেগালের রাজধানী ডাকার উপকূলে অভিবাসীদের নৌকাডুবে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মন্তব্য করুন