

সুদানের উত্তর দারফুরের আকাশে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি আর বাতাসে মিশে আছে যেন মৃত্যুর গন্ধ। এল-ফাশের শহরের রাস্তাগুলো এখন নিস্তব্ধ কবরস্থানে পরিণত হয়েছে—যেখানে মানুষের কান্নার শব্দও হারিয়ে গেছে।
কয়েক দিন আগেও শান্ত-জীবন্ত শহরটি এখন মৃতদেহের স্তূপে ভরে গেছে। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, সেগুলো দাফন করারও কেউ নেই।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিপর্যয় শুরুর পর শহরটিতে আটকে থাকা সাধারণ মানুষ এখন চরম বিপদের মুখে দিন পার করছে। সহিংসতায় আহতরা কোনো উপায় না থাকায়, খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। তাদের চিকিৎসা তো দূরের কথা—এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত দেওয়ার কেউ নেই। ভায়াবহ এই সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ তাদের প্রাণ বাঁচাতে দারফুর ছেড়ে তাভিলা শহরে পালিয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যেই কয়েক লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ গাদাগাদি করে ঠাঁই নিয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ এল-ফাশের দখল করে নেয়। তাদের হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়। জানা গেছে, শুধু একটি হাসপাতালেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৬০ জন। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই ২০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা ঘোষণা করেছে, কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন—এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
মন্তব্য করুন