কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আরেক অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর

সেনাবাহিনীর সামরিক যান। ছবি : সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর সামরিক যান। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির পর এবার এশিয়ায়ও বিদ্রোহী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

সোমবার ( ২০ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। শনিবার থেকে এ চুক্তি অনুসারে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুনমিংয়ে উভয়পক্ষ আলোচনা করেছে। এ সময় তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য বেইজিংকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত করা দেশটির এবং এই অঞ্চলের সকল পক্ষের জন্য সাধারণ স্বার্থ। এটি চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে অবদান রাখে।

মাও বলেন, চীন সক্রিয়ভাবে শান্তি ও সংলাপ প্রচার অব্যাহত রাখবে এবং মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়ায় সমর্থন ও সহায়তা প্রদান করবে।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারে বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। গোষ্ঠীগুলো মূলত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সংঘাত এখন দেশটির সীমান্ত ও অধিকাংশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ তাদের বাড়ি থেকে নিরাপত্তা ও মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পালাতে বাধ্য হয়েছে।

গত ১৬ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে গত বছর মোট ৫ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার ৬ শতাংশের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অর্থাৎ সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু। গত বছরের শেষ দিকে বিমান হামলা, ড্রোন হামলা, গোলাবর্ষণ, অভিযান ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সংঘাত, বিপর্যয়, মহামারি, বিস্ফোরক অস্ত্র ও অর্থনৈতিক পতনের কারণে চলতি বছর দেশটিতে আরও ‘ভয়াবহ’ অবস্থা বিরাজ করবে। এ বছর দেশটিতে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ২ কোটি মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।

সম্প্রতি দেশটির হালনাগাদ আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মিয়ানমারের জন্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৩ লাখে। ২০১৪ সালে আগের আদমশুমারিতে যা ছিল ৫ কোটি ১৫ লাখ। ১০ বছরের ব্যবধানে দেশটিতে জনসংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে এ দুই আদমশুমারির কোনোটিতেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে ছিলেন না রোনালদো

চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক

উল্টোরথে শেষ হলো রথযাত্রার মহোৎসব

আশুরায় শুধু কারবালার নয়, রয়েছে আরও যত ঘটনা

ফারিন খানের রহস্যময় পোস্ট, কী চলছে এই অভিনেত্রীর জীবনে?

যারা হাসিনাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছে তারাও পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে সড়কে গেল আরও দুই ভাইয়ের প্রাণ

পানি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে : রাশেদ প্রধান

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানার জবাব রাজপথে দেওয়া হবে : মুরাদ

বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সাজু

১০

বাংলাদেশে ঠেলে দিতে বিশেষ বিমানে করে ২০০ জনকে সীমান্তে আনল ভারত

১১

যে কারণে চুম্বন দৃশ্যে না বলেন সালমান, রহস্য ফাঁস করলেন আরবাজ

১২

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেলে ৩৪৭ রোগী পেলেন অনুদান

১৩

ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই: বুলবুল

১৪

চবি ভিসিকে শিক্ষার্থী / ‘নিজের যোগ্যতায় বসেননি, আমরা আপনাকে বসিয়েছি’

১৫

সিভাসুর ২ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, বহিষ্কার ১৯

১৬

জবির মার্কেটিং বিভাগের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৭

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের ‘জেমস বন্ড’ : জাহিদ হাসান

১৮

করাচিতে ভবন ধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

১৯

আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : সালাহউদ্দিন

২০
X