তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন বুনইয়ান উল মারসুস’ নামে একটি পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেছে। ভারতের 'অপারেশন সিন্দুর' এর বদলা হিসেবে পাকিস্তান বুনইয়ান উল মারসুস নামে অভিযান শুরু করেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযানে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে পাঠানকোট, উদমপুর এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার উল্লেখযোগ্য।
'বুনইয়ান উল মারসুস' নামটি কোরআনের একটি আয়াত থেকে নেওয়া, যার অর্থ ‘সীসা গলিয়ে তৈরি এক অটুট প্রাচীর’। এটি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ঐক্য, শক্তি এবং প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাকিস্তান জানায়, ভারতের হামলায় নূর খান, মুরিদ ও শোরকোট বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল। এই হামলার জবাবে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে ভারতের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই অভিযানে শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে, বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে নয়। তবে, এই উত্তেজনা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে আরও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
এই অভিযানে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- উধমপুর বিমানঘাঁটি, পাঠানকোট বিমানঘাঁটি ও ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জি৭ দেশগুলো উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয় কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে। সে হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারান। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।
সূত্র: জিও নিউজ, গার্ডিয়ান
মন্তব্য করুন