দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোহাংয়ের একটি পাহাড়ে নৌবাহিনীর একটি পি-৩ মেরিটাইম প্যাট্রোল বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় বিমানে চার নৌ-কর্মকর্তা ছিলেন। তারা সকলে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাহাড় থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, পোহাংয়ের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণ প্রশিক্ষণের জন্য দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে পি-৩ মেরিটাইম প্যাট্রোল বিমানটি উড্ডয়ন করে। এরপর অজ্ঞাত কারণে দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে কাছাকাছি একটি স্থানে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানে মোট চারজন আরোহী ছিলেন—দুজন কমিশন্ড অফিসার এবং দুজন নন-কমিশন্ড অফিসার। নৌবাহিনী জানিয়েছে, চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
এক নৌ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটি সাধারণত দক্ষিণের জেজু দ্বীপের একটি নৌ-ইউনিটে অবস্থান করে, তবে প্রশিক্ষণের জন্য পোহাংয়ে এসেছিল।
নৌবাহিনী দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত ইউনিট গঠন করেছে এবং পি-৩ মেরিটাইম প্যাট্রোল বিমানের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এ ঘটনায় কোনো বেসামরিক হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নৌবাহিনী ১৬টি পি-৩ বিমান পরিচালনা করে, যা সাবমেরিন বিরোধী ক্ষমতার জন্য ‘সাবমেরিন কিলার’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে প্রথম আটটি পি-৩সি বিমান ১৯৯৫ সালে মোতায়েন করা হয় এবং পরবর্তীতে কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দ্বারা সংস্কারকৃত আরও আটটি পি-৩সিকে বিমান মোতায়েন করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিধ্বস্ত বিমানটি পোহাং ও জেজুতে পরিচালিত ৮টি পি-৩সিকে বিমানের একটি। এটি নৌবাহিনীর পি-৩ বিমানের প্রথম দুর্ঘটনা।
মন্তব্য করুন