কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কেরালায় মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু, বাঁচার উপায় কী

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেরলায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে মস্তিষ্কের সংক্রমণ। চলতি বছর প্রায় ৬১টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া এ সংক্রমণে গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস (পিএএম) সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে কেরালা কর্তৃপক্ষ। এই সংক্রমণটি নেগেলেরিয়া ফাউলেরি দ্বারা সৃষ্ট, যা সাধারণত ‘মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা’ নামে পরিচিত। খবর এনডিটিভি

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেন, কেরালা গুরুতর একটি জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কোঝিকোড় এবং মালাপ্পুরমের মতো জেলাগুলোতে আগে ক্লাস্টারের সঙ্গে যুক্ত এই সংক্রমণ এখন রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে দেখা দিয়েছে। এতে তিন মাস বয়সী শিশু থেকে শুরু করে ৯১ বছর বয়সীও একজন রোগী রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো, আমরা একক কোনো জলের উৎসের সঙ্গে ক্লাস্টারের সংযোগ দেখতে পাচ্ছি না। এগুলো একক ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ফলে এটি মহামারি সংক্রান্ত তদন্তকে জটিল করে তুলেছে।

পিএমএ বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা কী, এটি কীভাবে সংক্রমণ ঘটায়?

সরকারি নথি অনুযায়ী, মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা মানুষের প্রধান স্নায়ুতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর ফলে মস্তিষ্ক পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। আবার কখনও মস্তিষ্ক ফুলে মানুষের মৃত্যু ঘটে। পিএএম দুর্লব সংক্রমণম এর ফলে সুস্থ শিশু, তরুণ এবং বয়স্করা আক্রান্ত হতে পারে।

ওই নথিতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার’ বাহক হিসেবে ‘গরম, বিশেষ করে স্থির স্বাদু পানিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি মানুষের নাক দিয়ে প্রবেশ করে। এ জন্য এমন পানির মধ্যে সাতার, ডাইভিং, কিংবা গোসল করলে অ্যামিবা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে এটি আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে না।

কীভাবে বুঝবেন আপনি মস্তিষ্কখেকো সংক্রমণে আক্রান্ত?

পিএএম সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার অনেক বেশি, কারণ এটি নির্ণয় করা কঠিন। এর লক্ষণগুলো ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসের মতো। যেমন- মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব এবং বমি করা। কিন্তু এসব সাধারণ লক্ষণ দেখা দিলে অনেকেই সচেতন হয় না, ফলে একপর্যায়ে গিয়ে যখন তার অ্যামিবা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন তাকে বাঁচানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

বিশেষ করে গরমের সময় এর সংক্রমণ বেশি ঘটে। কারণ এ সময়গুলোতে যারা পানিতে সাঁতার, ডাইভিং এবং গোসল করে তাদের মাঝে সংক্রমণের হার অনেক বেশি দেখা গেছে। অ্যামিবায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে অন্তত ৯ দিন সময় লাগে।

অ্যামিবার চিকিৎসা কী?

গত ছয় দশকে অ্যামিবা সংক্রমণ থেকে থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের নথি থেকে দেখা গেছে, মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই তাদের চিকিৎসা শুরু করা হয়। এতে আরও দেখা গেছে, পিএএমের প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং সময়মতো অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের মাধ্যমে সমস্যা সারিয়ে তোলা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেঘনা ব্যাংকে চাকরি, আবেদন করুন আজই

মোদি-পুতিন ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক চাচ্ছে ইইউ

বিতর্কিত শিল্পপতি রিপন মুন্সি অবশেষে কারাগারে

জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেতা

জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাত নেতা বহিষ্কার

ভারতীয় সিনেমায় হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে উঠে এলো ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক

নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদাকে সাতক্ষীরায় সংবর্ধনা

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম, আজ ভরিতে কত?

পাচারের সময় ৭২ বস্তা সরকারি চালসহ মাঝি আটক

১০

চোখ দেখেই বোঝা যাবে শরীরে কী রোগ হয়েছে

১১

কেরালায় মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু, বাঁচার উপায় কী

১২

গাজায় চালু থাকা কয়েকটি হাসপাতালের কাছে হামলা, নিহত ১৯

১৩

আজ রাজধানীতে বিক্ষোভে নামছে জামায়াতসহ ৭ দল, জেনে নিন সময়-স্থান

১৪

‘টুপি পরার অপরাধে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হতো’

১৫

লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে বাংলাদেশি প্রতিনিধি

১৬

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৭

নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

১৮

ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি ৩ কিশোর, উৎকণ্ঠায় পরিবার

১৯

দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, ‘বিপদে’ পড়ছে পৃথিবী?

২০
X