ইন্দোনেশিয়ায় এক মাসের ব্যবধানে ফের ভূমিধসে প্রাণহানি হয়েছে। এবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সুলাওয়েসি দ্বীপের পাহাড়ি অঞ্চল তানা তরাজায় এ ঘটনা ঘটে। খবর ডয়চে ভেলের।
দেশটিতে ভূমিধস নতুন নয়। প্রায়ই দেশটিতে এ দুর্যোগে প্রাণহানি ঘটছে। এর মধ্যে গত মাসে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মুষলধারার ওই বৃষ্টি সেখানে শত শত ঘর ধ্বংস করে ও হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান গুনার্দি মুন্দু বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে কাদায় পরিণত হয়। শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎ সেই কাদামাটি চারটি ঘরের ওপর পড়ে। এসব ঘরের লোকজন মাটিচাপা পড়েন।
এ ছাড়া পাহাড় থেকে ধসে আসা মাটির নিচে গ্রামটির অনেক অংশ চাপা পড়ে। স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান সুলায়মান মাইলা জানান, ভূমি ধসের পর স্থানীয়রা প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে সেনা, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দেন।
সুলায়মান বলেন, ‘আমরা এখনো উদ্ধারকাজ করছি। কিন্তু কুয়াশা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির জন্য কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের কর্মকর্তাদের এক প্রকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’
এদিকে আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণের ফলে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। এতে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ জন। রোববার (১৪ এপ্রিল) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়ির ছাদ ধসে পড়ার কারণে বেশিরভাগ লোক হতাহত হয়েছেন। মূলত ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের সহায়তায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভূমিধসে আহতদের হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকাজে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া, দুর্গম এলাকা ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন