বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গরমের পর বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া

এল নিনোর প্রভাবে ভৌগোলিক মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত
এল নিনোর প্রভাবে ভৌগোলিক মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত

এল নিনোর প্রভাবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গেল বছর থেকেই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় এখানকার মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কাছে চলমান তাপ প্রবাহের তীব্রতা একপ্রকার অভিশাপ হয়েই দেখা দিয়েছে। এদিকে গ্রীষ্মের শেষেই আসবে বর্ষাকাল, এখানেও কোনো সুখবর দেখছেন না জলবায়ু বিশ্লেষকরা। বলা হচ্ছে তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া।

আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক তথা সাসকোফ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। মূলত আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা লা নিনার কারণে এ বছর এমনটা দেখা যাবে।

সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। তবে ভিন্নতা দেখা যাবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে। সেসব জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে।

সাসকোফ জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বিরাজমান আছে। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় এল নিনো বিরাজমান থাকবে। শেষ অংশে শুরু হবে লা নিনা। এল নিনোর কারণে অতিরিক্ত তাপ প্রবাহ এবং লা নিনার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

এল নিনো আর লা নিনা হলো স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ হলো ‘ছোট্ট ছেলে’ আর অন্যটির অর্থ হলো ‘ছোট্ট মেয়ে’। দুজনই দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের বাসিন্দা। প্রায় ১০০ বছর আগে সেখানকার জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ওদের দেখতে পায়। সেই থেকেই তাদের এমন নামকরণ। এল নিনো হলো শুষ্ক মৌসুম, যখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম বৃষ্টি হয় এবং বন্যাও কম হয়। এ সময় তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আর লা নিনার সময় বেশি বৃষ্টি আর বেশি বন্যা দেখা যায়। তাপমাত্রা কমে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে।

মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করেই এর সংজ্ঞা। এখানে তাপমাত্রার একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা এই সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় লা নিনা আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মনি গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরে কর্মসূচি

এখনো ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, ছাত্রত্ব বাতিল দুই শিক্ষার্থীর

‘চশমা’ প্রতীকে নির্বাচন করবে আট দলের শরিক জাগপা

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া সব সময় আপসহীন : মাসুদুজ্জামান

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির ওমরাহ পালন

সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না ভারতকে, সমতায় সিরিজ

মাদকাসক্ত ছেলের আগুনে পুড়ল বসতঘর

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

১০

মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

১১

শরীয়তপুরে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মিলাদ ও দোয়া

১২

পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের যে দাবি

১৩

সন্তানহারা মা কুকুরটিকে দেওয়া হলো দুটি নতুন ছানা

১৪

সালাউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বিসিবি, থাকছেন জাতীয় দলের সাথেই

১৫

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার কাজী আলাউদ্দিনের

১৬

স্কুলে ভর্তিতে বয়সসীমা নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৭

বাস-ভ্যানের সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুজনের

১৮

চা খেয়ে ফিরছিলেন চার বন্ধু, একে একে প্রাণ গেল তিনজনের

১৯

বিশাল এক ইলিশ ১৪ হাজারে বিক্রি

২০
X