কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গরমের পর বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া

এল নিনোর প্রভাবে ভৌগোলিক মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত
এল নিনোর প্রভাবে ভৌগোলিক মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত

এল নিনোর প্রভাবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গেল বছর থেকেই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় এখানকার মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কাছে চলমান তাপ প্রবাহের তীব্রতা একপ্রকার অভিশাপ হয়েই দেখা দিয়েছে। এদিকে গ্রীষ্মের শেষেই আসবে বর্ষাকাল, এখানেও কোনো সুখবর দেখছেন না জলবায়ু বিশ্লেষকরা। বলা হচ্ছে তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া।

আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক তথা সাসকোফ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। মূলত আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা লা নিনার কারণে এ বছর এমনটা দেখা যাবে।

সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। তবে ভিন্নতা দেখা যাবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে। সেসব জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে।

সাসকোফ জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বিরাজমান আছে। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় এল নিনো বিরাজমান থাকবে। শেষ অংশে শুরু হবে লা নিনা। এল নিনোর কারণে অতিরিক্ত তাপ প্রবাহ এবং লা নিনার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

এল নিনো আর লা নিনা হলো স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ হলো ‘ছোট্ট ছেলে’ আর অন্যটির অর্থ হলো ‘ছোট্ট মেয়ে’। দুজনই দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের বাসিন্দা। প্রায় ১০০ বছর আগে সেখানকার জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ওদের দেখতে পায়। সেই থেকেই তাদের এমন নামকরণ। এল নিনো হলো শুষ্ক মৌসুম, যখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম বৃষ্টি হয় এবং বন্যাও কম হয়। এ সময় তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আর লা নিনার সময় বেশি বৃষ্টি আর বেশি বন্যা দেখা যায়। তাপমাত্রা কমে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে।

মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করেই এর সংজ্ঞা। এখানে তাপমাত্রার একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা এই সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় লা নিনা আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিস্ফোরক অভিযোগ আবু ত্বহার স্ত্রীর

পিকে হালদারের সহযোগী তাজবীরের জামিন

চট্টগ্রামে মিলল বিপুল জাল টাকা

পেনাল্টিতে গোল হজম করে বিরতিতে হামজারা

১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২৯ জেলায় বৃষ্টির আভাস

মিরপুরের আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

নভেম্বরে গণভোট চাওয়াদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কিনা, প্রশ্ন রিজভীর

ফ্রান্সে ‘আশা এবং আমার সংগ্রাম’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

শাপলা প্রতীক না পাওয়ার প্রশ্নে যা বললেন সারজিস আলম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে ব্রাজিলের হার

১০

ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী

১১

শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিশ

১২

বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা

১৩

সরিয়ে দেওয়া হলো শিক্ষার ডিজিকে 

১৪

ভিকারুননিসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

১৫

গাজাকে নতুন করে নির্মাণ নিয়ে কী বলছেন ট্রাম্প

১৬

সিজেএফবি বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন  / বেবী নাজনীন, পূর্ণিমা এবং কাজী জেসিন

১৭

শিশুশ্রম নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে

১৮

টিকটক বানাতে গিয়ে প্রাণ গেল হৃদয়ের

১৯

সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝড়ল ৫০২ প্রাণ

২০
X