সিরিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করা ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে আটকে দিয়েছে তুরস্ক। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানকে মোকাবিলা করেছে দেশটি।
সোমবার (০৫ মে) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেতনে বলা হয়েছে, প্রতিহত করতে তুরস্কের যুদ্ধবিমান ইলেকট্রনিক হুমকি সংকেত পাঠানো এবং জ্যামিং অপারেশন পরিচালনা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে আঙ্কারা ও তেলআবিবের মধ্যে বিরোধের এই ঘটনাকে দুই দেশের মধ্যে নতুন মাত্রার সামরিক উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, ইসরায়েল সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে—এমনকি প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের নিকটেও—বিমান হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, সিরিয়ার সরকারের নতুন বাহিনীর সঙ্গে দ্রুজ মিলিশিয়াদের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে, ইসরায়েল দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এসব হামলা চালাচ্ছে।
তবে ইসরায়েলি জেটগুলো তাদের অভিযানে অগ্রসর হওয়ার সময়, তুর্কি যুদ্ধবিমান তাদের অডিও ও রাডার সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে।
ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং অথরিটি নিশ্চিত করেছে যে, তুর্কি বিমান সিরিয়ার আকাশসীমা থেকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে সরাতে সতর্কবার্তা সংকেত পাঠাচ্ছে এবং জ্যামিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই ঘটনা একটি বিরল, তবে তাৎপর্যপূর্ণ, সামরিক মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে—বিশেষ করে সিরিয়ার মাটি ও আকাশ নিয়ে, যেখানে ইসরায়েল ও তুরস্ক উভয়েই দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলকে বিমান হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর কয়েকদিন পর এই সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তুরস্ক জানিয়েছিল, সিরিয়ার এই সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে, ইসরায়েলকে অবশ্যই তার বিমান হামলা বন্ধ করতে হবে। কারণ এটি সিরিয়ার ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করছে।
তুরস্ক ও ইসরায়েল, উভয় দেশই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ৮ তারিখে আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো উভয়ের মধ্যে এমন সরাসরি সামরিক দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন