বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাগাম টানতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্ষমতাশালী দেশ ও প্রতিষ্ঠান। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করাসহ কূটনৈতিক চাপে পড়ে সেসব দেশ। সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করতে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় ইইউ। তারা দেশটির বহুমূল্য পাথর (হীরা) ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চাইছে। আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইইউ’র অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাবিষয়ক কমিশনার মেরিড এমসিজিনিয়াস এক বিবৃতিতে জানান, বেলারুশ রাশিয়ার হীরা ব্যবসা ও এর ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার উপায় খুঁজছে। ফলে মস্কোর রপ্তানি আয় কমে যাবে।
এমইপি গ্রুপের টমাস ডেচোভস্কির এক বক্তব্যের পর হীরার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে এসেছে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় চ্যানেলসহ বিশ্বব্যাপী বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত রত্ন রপ্তানি করে রাশিয়া।
ইইউ’র এমন নিষেধাজ্ঞার ফলে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জন্য সিন্থেটিক বা পরিশোধিত হীরা আমদানি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। যদিও জুয়েলারি ব্যবসার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত এর ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
এমসিজিনিয়াস এমইপি গ্রুপের ডেচোভস্কির প্রত্যুত্তরে জানান, সর্বশেষ একমাস আগে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জুন মাসের ২৩ তারিখের ওই নিষেধাজ্ঞায় তৃতীয় দেশের সহায়তায় বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টি ছিল। তবে সেখানে হীরার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়া ও কিরগিজস্তানের ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার ব্যাংক, এনার্জি ইন্ডাস্ট্রি, জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিবরি সাংবাদিকদের জানান, এটিই শেষ নিষেধাজ্ঞা নয়। যুদ্ধ যতদিন চলবে ততদিন আমরা এমন পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব। সামনের দিনগুলোতে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন