শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ
হাসপাতালে ধর্ষণ-হত্যা

দিল্লি-মুম্বাইয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, অনড় পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা

আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিস চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন দিল্লি- মুম্বাইসহ ভারতের প্রায় সব অঞ্চলের চিকিৎসকরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণ ও হত্যার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এবং চিকিৎসকরা অন্যান্য দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা নিয়মিত ডিউটিতে ফিরে চিকিৎসাসেবা শুরু করেছেন। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত ও পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা এখনই বিক্ষোভ থামাচ্ছেন না। তারা শুক্রবারও (২৩ আগস্ট) কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি বিক্ষোভ করবেন।

আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিস চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় দোষীদের ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল হয় পশ্চিমবঙ্গ। ক্রমশ তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। আরজি করের চিকিৎসকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আন্দোলনের মধ্যে নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়ে আরজি করের মামলা শুনছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল।

পরে আদালত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন। এতে আস্থা রেখে দেশজুড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।

পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা এখনই আশ্বস্থ হতে পারছেন না। অপরাধী সবাই গ্রেপ্তার না হলে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। তাই আপাতত আন্দোলন চলবে। শুক্রবার সিবিআই দপ্তরে তাদের প্রতিনিধি দল গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেবেন। পরে কর্মবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের সভাকক্ষে রাতে ওই নারী চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে ৩১ বছর বয়সী ওই শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। তখনই তার রক্তাক্ত দেহে জখমের চিহ্ন ছিল। কিন্তু একটি পক্ষ হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কলকাতার পাশাপাশি ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এখনো সেখানে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১০

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১১

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১২

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৩

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৪

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৫

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৬

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৭

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

১৮

বিশ্বকাপ দলে ডাক পেলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

১৯

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে যাচ্ছে : প্রেস সচিব

২০
X