ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যোগ না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যোগ দেবেন। গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
উদীয়মান ১৯ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জোট জি-২০। জোটটির এবারের শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে জোটের ২০ সদস্য ছাড়াও ৯ দেশকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছে সম্মেলনের আয়োজক ভারত।
হোয়াইট হাউস বলছে, সম্মেলনের দুদিন আগে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লি যাবেন বাইডেন। পরের দিন শুক্রবার তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এরপর শনিবার ও রোববার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করবেন জোটের নেতারা।
এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নেতিবাচক প্রভাব প্রশমন এবং দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকসহ বহুজাতীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট হঠাৎ করে জি-২০ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার কথা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার জায়গায় প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিতে পারেন।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল। দুজনই নিজেদের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন।
শি জিনপিংয়ের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিনও সম্মেলনে অংশ নেবেন না বলে মোদিকে জানিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। যদিও এ ধরনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। ফলে আইসিসির কোনো সদস্য দেশে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন পুতিন।
এমনকি চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন পুতিন। যদিও রাশিয়া ছাড়া ব্রিকসের অন্য চার দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এতে সশরীরে যোগ দেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিদেশ সফর একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন পুতিন। গত বছরের জুলাই মাসে ইরান এবং ডিসেম্বরে ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের সংক্ষিপ্ত সফরসহ হাতেগোনা কয়েকটি বিদেশ সফর করেছেন তিনি। তবে আগামী অক্টোবরে চীন সফরের পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।
মন্তব্য করুন