

চারদিকে কাঁচ ভাঙার ঝনঝনানির মাঝে বাতাসে ভেসে এলো মদের উগ্র গন্ধ। হাতে লাঠি নিয়ে একদল নারী মারমুখী হয়ে তছনছ করছেন দোকানের তাকে সাজানো একের পর এক বোতল। কোনো দাঙ্গা বা ব্যক্তিগত শত্রুতা নয়, এ যেন এক অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
তিল তিল করে গড়ে তোলা সুখের সংসার যখন নেশার করাল গ্রাসে বিলীন হতে বসেছে, তখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া নারীরা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলার মহুয়া গ্রামে।
আগ্রা-জয়পুর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত একটি মদের দোকানকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিল স্থানীয় নারীদের মনে। তাদের দাবি, হাতের কাছেই মদ পাওয়ায় ঘরের পুরুষরা চরম নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
ফলে প্রতিদিনের পারিবারিক শান্তি যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা।
ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই দোকানটি সরানোর জন্য বারবার দাবি জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে বুধবার লাঠি হাতে একত্রিত হন গ্রামের শতাধিক নারী।
দোকানে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মদের শত শত বোতল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন তারা। মুহূর্তে পুরো এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা ওই ভুক্তভোগী নারীদের সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে ঘর বাচাতে এই নারীদের রণচণ্ডী রূপ এখন পুরো এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
মন্তব্য করুন