প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, চীনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায় সৌদি আরব। সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন সালমান এমন ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, সৌদি-চীনের সম্পর্ক নিয়ে পশ্চিমাদের সন্দেহকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। গতকাল রোববার রিয়াদে আরব-চীন দশম বাণিজ্য সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে বৃহত্তম জ্বালানি গ্রাহক চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয় হলো—রিয়াদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে যে শুধু রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে তা নয়, নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল প্রযুক্তিতেও গভীর হয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক।
আরব-চীন ব্যবসায়িক সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সমালোচনার ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আবদুলআজিজ বিন সালমান বলেন, ‘আমি এটিকে পাত্তা দিচ্ছি না। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে যেখানে সুযোগ আসবে, আপনি সেখানেই যাবেন।’
এই ব্যবসায়িক সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল রিয়াদে জড়ো হন চীনা উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের রিয়াদ সফরের কয়েক দিন পর শুরু হয় এ সম্মেলন।
গত মার্চে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো চীনে মাল্টিবিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বাড়াতে চীনের সঙ্গে দুটি বড় চুক্তি ঘোষণা করে। গত ডিসেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌদি সফরের পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় ঘোষণা। ওই সফরে শি জিনপিং ইউয়ানে তেল বাণিজ্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে সময় বলা হচ্ছিল, এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যার ফলে দুর্বল হতে পারে ডলারের আধিপত্য।
জ্বালানিমন্ত্রী আবদুলআজিজ বলেন, ‘চীনে তেলের চাহিদা এখনো বাড়ছে। আমাদের অবশ্যই সেই চাহিদার কিছু অংশ কাজে লাগাতে হবে। আর সেটি চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নয়, সহযোগিতামূলক সম্পর্কের জন্য।’
সৌদি আরবের বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেছেন, ‘যে কোনো চুক্তিতে উপসাগরীয় শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। কারণ এ অঞ্চলটি তেল বাণিজ্যের বাইরেও অর্থনৈতিক খাতের দিকে বৈচিত্র্য আনতে শুরু করছে।’
মন্তব্য করুন