কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বুলডোজার দেখে তেড়ে আসে নেতানিয়াহুর যুদ্ধবিমান, অতঃপর...

ক্ষতিগ্রস্ত বুলডোজার। ছবি : সংগৃহীত
ক্ষতিগ্রস্ত বুলডোজার। ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি বুলডোজারে হামলা চালায়। এ ঘটনায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে এ হামলা হয়।

ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ হামলা ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির নতুন লঙ্ঘন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে নুওয়েইরি এলাকায় আটকে থাকা একটি গাড়িকে সহায়তা করার সময় বুলডোজারটিতে বোমা ফেলে ইসরায়েলি বিমান। বোমা ফেলার ধরনে মনে হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা করেছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এতে বুলডোজারের চালক নিহত এবং অন্যরা আহত হন।

ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা উপত্যকায় ফিরে আসতে শুরু করার পর থেকে এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা। এর আগে, উপকূলীয় আল-রশিদ সড়ক দিয়ে ফিরে আসা বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন ফিলিস্তিনি তরুণী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোমবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি এবং তাদের যানবাহনের উপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, ফিলিস্তিনিরা অননুমোদিত অঞ্চলে প্রবেশ করায় গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।

প্রসঙ্গত, উত্তর গাজায় লাখো উদ্বাস্তু ফিরছেন। অথচ তাদের ঘরবাড়ি বলে কিছুই নেই। ইসরায়েলি আগ্রাসনে সব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে ফিরেও স্বাধীনতার স্বাদ এখনই পাচ্ছেন না গাজাবাসী। বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের ইসরায়েলি বিধিনিষেধে দিন কাটাতে হতে পারে। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি বর্ষণের ঘটনা এরই আভাস দিচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রক্তদাতার যত্ন: সজীব শরীর, সচেতন জীবন

‘আমি যেন বার বার ফিরে আসতে পারি আপনাদের হৃদয়ে’

‘টাঙ্গুয়ার হাওরে টুরিস্ট পুলিশের তথ্যসেবা কেন্দ্র করা হবে’

বিয়ের ৫ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম

চবিসাসের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক কালবেলার জাহিদুল

প্রশিক্ষণার্থী নারীকে অপদস্থের পর ক্ষমা চাইলেন সেই কৃষি কর্মকর্তা

জাবি শিক্ষার্থীদের তথ্য ফাঁস; নেপথ্যে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক

‘ফটোগ্রাফার রাফিদের স্মরণে ফটোগ্রাফি কনটেস্ট আয়োজন করা হবে’

তেলের ডিপোর ট্যাংকে আটকে শ্রমিকের মৃত্যু

অনির্বাচিত সরকার সব কিছুর সমাধান করতে পারে না : যুবদল সভাপতি

১০

ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট সরকার : আইসিটি সচিব

১১

রাজউকের সার্ভারে ঢুকে ভবনের অনুমোদন করিয়ে নিয়েছিল হ্যাকার নিজেই

১২

সরাসরি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউট ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা

১৩

জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৪

অধ্যাপক ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’ : নাহিদ ইসলাম

১৫

এবার আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের

১৬

শীতের শুরুতে স্থানীয় নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন

১৭

ডাকসুর রোডম্যাপ দাবিতে ৩২ ঘণ্টা ধরে অনশনে বিন ইয়ামিন

১৮

বই চুরির মামলায় অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার গ্রেপ্তার

১৯

বন্যা না আসতেই ধসে গেল নদী রক্ষা বাঁধ

২০
X