কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা, কী বলছে যোদ্ধারা

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার একটি এলাকা। ছবি : সংগৃহীত
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার একটি এলাকা। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাক তা চায় না ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু তারা জিম্মি মুক্তিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে হামাস যুদ্ধবিরতি বহাল রাখতে তাদের সদিচ্ছা রয়েছে বলে দাবি করে। শনিবারের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সময়সীমা এবং আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকির মধ্যে গোষ্ঠীটি বিবৃতি দিল।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস শনিবার আরও তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে হঠাৎ তারা জিম্মি মুক্তি স্থগিত করে। এ জন্য ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। হামাসের এ ধরনের সিদ্ধান্তে কঠোর বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরক’ শুরু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মেলান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিতে তার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

হামাসের জিম্মি স্থগিতের সিদ্ধান্তে গাজায় যখন আবারও হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তখন গোষ্ঠীটি বলছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়ার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী নই। আমরা এর বাস্তবায়ন এবং দখলদার (ইসরায়েল) যাতে এটি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী। হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানৌয়া এসব বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু যে হুমকি-ভীতি প্রদর্শনের ভাষা ব্যবহার করেছেন তা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক নয়।

এদিকে গাজা উপত্যকায় আবারও ভয়াবহ সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন করে সংঘর্ষের দিকে মোড় নিতে পারে। ইসরায়েল রিজার্ভ সেনা প্রস্তুত করেছে। এর মাধ্যমে তারা যুদ্ধ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামাস যদি আগামী শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তাহলে ইসরায়েল গাজায় আবার হামলা শুরু করবে—এমনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, যে কোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত, ঘরবাড়ি হারিয়েছে। খাবার, পানির সংকট তো রয়েছেই, আশ্রয়কেন্দ্রেরও অভাব। এমন অবস্থায় আবার যুদ্ধ শুরু হলে গাজার বাসিন্দাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফাইনালে ভারতের বোলারদের ওপর পাক ব্যাটারদের দাপট

বিয়ে করতে যাওয়ার পথে ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা

পিআর হচ্ছে প্রাইভেট রিলেশন, যা এ দেশে হবে না : কর্নেল অলি

বিক্ষোভে উত্তাল আর্জেন্টিনা

ফাইনালের আগে অদ্ভুত দৃশ্য, একাই ফটোশুট করলেন পাকিস্তান অধিনায়ক

১৮ কেজির কালো পোপা বিক্রি হলো ৯৫ হাজারে

নরসিংদীর ৮৯ পূজামণ্ডপে খায়রুল কবিরের অনুদান

দংশন করা সাপ নিয়েই হাসপাতালে মইনুল

নামাজে সালাম ফেরানোর সঠিক পদ্ধতি কী, জেনে নিন

‘প্রাথমিকে ছুটি কমছে’

১০

ডিসেম্বরে হচ্ছে না বইমেলা

১১

মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

১২

নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর মৎস্যঘের থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

১৩

প্রবাসীদের উদ্দেশে ড. ইউনূসের আহ্বান 

১৪

টানা তৃতীয়বারের মতো হাত মেলানো এড়িয়ে গেল ভারত-পাকিস্তান

১৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে তানজিম সাকিবের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

১৬

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

১৭

মুখ অতিরিক্ত ঘামে কেন, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

১৮

ফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের, দেখে নিন দু’দলের একাদশ

১৯

মালদ্বীপে নেপালি নারীকে ছুরিকাঘাত, বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

২০
X